This Article is From Aug 18, 2018

চিরশান্তির পথে বিশ্বশান্তির পথিকৃৎ- আশি বছর বয়সে প্রয়াত নোবেলজয়ী কোফি আন্নান

প্রয়াত হলেন রাষ্ট্রসংঘের প্রাক্তন মহাসচিব ও নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী কোফি আন্নান। বিশ্ববন্দিত এই মানুষটির মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল 80

চিরশান্তির পথে বিশ্বশান্তির পথিকৃৎ- আশি বছর বয়সে প্রয়াত নোবেলজয়ী কোফি আন্নান

সুইজারল্যান্ডের বার্ন হাসপাতালে প্রয়াত কোফি আন্নান

নিউ দিল্লি:

প্রয়াত হলেন রাষ্ট্রসংঘের প্রাক্তন মহাসচিব ও নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী কোফি আন্নান। বিশ্ববন্দিত এই মানুষটির মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল 80। তাঁর টুইটারে জানানো হয়েছে কয়েকদিনের অসুস্থতার পরেই মারা যান তিনি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানায় শনিবার ভোরের দিকে সুইজারল্যান্ডের বার্নের একটি হাসপাতালে কোফি আন্নানের মৃত্যু হয়। কোফি আনান বিশ্বের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ কূটনীতিক হিসেবে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব পদে 1997 থেকে 2006 পর্যন্ত দুই দফায় দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পরে সিরিয়ার জন্য রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ দূত হিসেবেও দায়িত্ব নেন কোফি আন্নান।

"সুসংগঠিত ও অধিক শান্তিপূর্ণ বিশ্বের লক্ষে কাজ" করার জন্য 2001 সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন তিনি।

ইউনাইটেড নেশনস এর প্রধান এন্টনিও গটারস বলেন, “কোফি আন্নান ছিলেন শুভকাজের মূল চালিকা শক্তি, শৃঙ্খলা এবং দৃঢ়তা নিয়ে কাজ করে রাষ্ট্রসঙ্ঘকে নতুন অভিমুখে চলার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আন্নান।"

ইউনাইটেড নেশনস মাইগ্রেশন বডির তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে, "আজ আমরা একজন মহান মানুষ, একজন নেতা এবং একজন স্বপ্নদর্শীকে হারালাম!"

কোফি আন্নান রেখে গেলেন তাঁর স্ত্রী এবং তিন সন্তানকে।

কোফি আন্নানের মৃত্যুর পর তাঁর ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে জানানো হয়েছেঃ

রাষ্ট্রসংঘের সাবেক মহাসচিব ও নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী কোফি আন্নান শনিবার 18 আগস্ট সামান্য অসুস্থতার পরই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর শেষ দিনগুলিতে তার স্ত্রী ন্যানে এবং সন্তান আমা, কোজো ও নিনা ছিলেন আন্নানের পাশে।

রাষ্ট্রসংঘ থেকে পদত্যাগ করার পর, তিনি কোফি আন্নান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং নেলসন ম্যান্ডেলা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত দ্য এল্ডার্সের চেয়ারম্যান হিসেবে বিশ্বজুড়ে শান্তির জন্য নানান পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে থাকেন।

ঘানায় জন্ম হওয়ায় আফ্রিকার প্রতি তাঁর দায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়ে বরারবরই সচেতন ছিলেন কোফি। আফ্রিকার সবুজ বিপ্লবের স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনিই। আফ্রিকার উন্নয়নের জন্য বিশেষভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন বলেই আফ্রিকার অগ্রগতি প্যানেলের চেয়ারম্যান পদে দীর্ঘদিন কাজ করে গিয়েছেন আন্নান।

যেখানেই আজ পর্যন্ত দুঃখকষ্ট দেখা দিয়েছে বা যখনই তাঁকে প্রয়োজন পড়েছে নির্দ্বিধায় সেখানে পৌছে গিয়েছিলেন আন্নান। তাঁর সহমর্মীতা, স্পর্শকাতর মন আর মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অদম্য ইচ্ছাশক্তি চিরকাল তাঁকে মানুষের কাছে অনুপ্রেরণার উদাহরণ করে রাখবে। তাঁর ফাউন্ডেশনে সহকর্মীরা এবং ইউনাইটেড নেশনস সিস্টেমের সাবেক সহকর্মীদের হৃদয়ে ভাস্বর হয়ে রইবেন আন্নান।

শোকের এই সময়ে আন্নানের পরিবারের তরফে যথার্থ গোপনীয়তা বজায় রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। আন্নানের শেষকৃত্যের কথাও এখনও ঘোষণা করা হয়নি।

.