This Article is From Aug 07, 2018

তামিল রাজনীতির প্রতিমূর্তি করুণানিধিঃ রাহুল গান্ধী

করুণানিধির মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরেই শোকবার্তা প্রকাশ করে সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন অনেকেই

তামিল রাজনীতির প্রতিমূর্তি করুণানিধিঃ রাহুল গান্ধী

28 জুলাই চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি হন করুণানিধি

নিউ দিল্লি:

তামিল রাজনীতির স্তম্ভ, পাঁচ বারের মুখ্যমন্ত্রী ডিএমকে নেতা করুণানিধি 94 বছর বয়সে চেন্নাইয়ের কাবেরী হাসপাতালে আজ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। গত 11 দিন ধরে ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছিল তাঁকে। কাবেরী হাসপাতালের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “আমাদের চিকিৎসকেরা, নার্সরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন ওঁকে সুস্থ করে তোলার। কিন্তু চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন না করুণানিধি।” 28 জুলাই মূত্রনালীর সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এই বর্ষীয়ান নেতা। তারপর থেকেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে তাঁর। সোমবারই জানানো হয় নেতার অবস্থা সংকটজনক।

করুণানিধির মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরেই শোকবার্তা প্রকাশ করে সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন অনেকেই।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করুণানিধির সঙ্গে তোলা তাঁর একটি পুরনো ছবি শেয়ার করেছেন টুইটারে। "ভারত, বিশেষ করে তামিলনাড়ু ওঁকে মনে রাখবে।"- লিখেছেন মোদী।

রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, রবিবারই করুণানিধির সঙ্গে দেখা করে আসেন৷ হিন্দিতে একটি টুইট করেছেন তিনি। করুণানিধির পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। 

কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী টুইটারে লিখেছেন, " ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে কালাইনার তামিল রাজনীতির প্রতিমূর্তি ছিলেন। তামিল মানুষের ভালোবাসার প্রতীক তিনিই। ভারত এক কৃতী সন্তান হারাল আজ।"

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় লিখেছেন, "আজ ভারতবর্ষ তার অন্যতম কৃতী সন্তানকে হারাল, আর তামিলনাড়ু হারাল তার পিতাকে।"
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় লিখেছেন, "কালাইনার এম করুণানিধির মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। 60 বছরের বিধায়ক, পাঁচ বারের মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রের বিভিন্ন জোটের নেতৃত্ব ছিলেন তিনি। খুব কম মানুষই আছেন যাঁরা কেন্দ্রে এবং রাজ্য রাজনীতিতে একই সঙ্গে এমন গভীর প্রভাব বিস্তার করেছেন। ওঁর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। দেশ তাঁকে মনে রাখবে।"

"ওঁর মৃত্যুর খবরটা পেয়ে খুবই খারাপ লাগছে। দেশের জন্য সত্যিই বড় ক্ষতি। ওঁর আত্মা শান্তি পাক।" লিখেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

.