This Article is From May 14, 2020

সেমেস্টার পরীক্ষা সম্পূর্ণ করা নিয়ে ভাবনাচিন্তা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, তাঁরা অবগত রয়েছেন যে, তাঁদের বহু পড়ুয়ার কাছে অনলাইন ক্লাস করার সুবিধা নেই।

সেমেস্টার পরীক্ষা সম্পূর্ণ করা নিয়ে ভাবনাচিন্তা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে

ফাইনাল‌ সেমেস্টারে পড়ুয়াদের অফলাইন হোম অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (JU) সব পড়ুয়াদের একসঙ্গে উপস্থিত না করেও কী করে সেমেস্টারের পরীক্ষা (Semester Exams) ১০০ শতাংশ সম্পন্ন করা যায় সমস্ত বিভাগীয় প্রধানদের থেকে সে বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অনলাইনেও কীভাবে পরীক্ষা করা নেওয়া সম্ভব সে বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মী জানালেন। এছাড়াও তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ফ্যাকা‌ল্টিদের থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে ফাইনাল‌ সেমেস্টারে পড়ুয়াদের অফলাইন হোম অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া যায় নাকি। তিনি বলেন, ‘‘এমনকী লকডাউন যদি তুলে নেওয়াও হয়, তাহলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি রাখতে হবে ক্লাসরুমে। ফলে এক ক্লাসে সব পড়ুয়াকে বসানো যাবে না। এদিকে বহু পড়ুয়া প্রত্যন্ত অঞ্চলে থাকায় সেখানে নেট সংযোগও খুব দুর্বল। অনেকের কাছে অত্যাধুনিক স্মার্টফোনও নেই।''

তিনি জানাচ্ছেন, এই সমস্ত কারণে ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টি ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হোম অ্যাসাইনমেন্ট কিংবা ফোনে মৌখিক পরীক্ষার মতো বিকল্প বিষয়গুলি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন।

তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘আমরা চিন্তাভাবনা করেছি যদি ফাইনাল ইয়ারের পড়ুয়ারা ইমেল ও হোয়াটসঅ্যাপে হোম অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে পারে। যদিও বহু পড়ুয়ার কাছে ল্যাপটপ বা স্মার্টফোন নেই। তাঁরা তাঁদের স্টাডি মেটেরিয়াল বন্ধু, প্রতিবেশী, পারিবারিক সদস্য বা চালু থাকা সাইবার ক্যাফে থেকে পেতে পারবেন।''

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, তাঁরা অবগত রয়েছেন যে, তাঁদের বহু পড়ুয়ার কাছে অনলাইন ক্লাস করার সুবিধা নেই। তাই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় তাঁদের পরিস্থিতির কথা সব সময় খেয়াল রাখে।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.