This Article is From Oct 28, 2019

জম্মু ও কাশ্মীরে ব্যবসায় ক্ষতি ১০,০০০ কোটি টাকা, জানাল ব্যবসায়ীদের সংগঠন

সূত্রের খবর, রাজ্যের হোটেল এবং গেস্ট হাউসগুলিতে এক লক্ষেরও বেশী ঘর ফাঁকা পড়ে রয়েছে। পর্যটক না থাকায়, হাজারেও বেশী কর্মহীন হয়ে পড়েছেন

পর্যটক না থাকায়, হাজারেও বেশী কর্মহীন হয়ে পড়েছেন

শ্রীনগর:

জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার এবং রাজ্যটিকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার, ঘোষণার পর থেকেই সে রাজ্যে ব্যবসা মার খেয়েছে বলে জানালেন রাজ্যের ব্যবসায়ীরা। রাজ্যের সর্বোচ্চ ব্যবসায়ীক সংগঠন, জম্মু ও কাশ্মীর চেম্বার অফ কমার্সের (Jammu and Kashmir Chamber of Commerce) তরফে বলা হয়েছে, ৫ অগস্ট থেকে সেরাজ্যে ব্যবসার ক্ষতির পরিমাণ ১০,০০০ কোটি টাকা। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের আগে, সমস্ত পর্যটকদের রাজ্য ছেড়ে চলে যেতে বলে কেন্দ্র। তারপর থেকে সেকি আর পা বাড়াননি পর্যটকরা, এমনকী, বেশীরভাগ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরেও। স্বাভাবিক অবস্থা এখনও আসেনি বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

কাশ্মীর পরিস্থিতি দেখতে ইউরোপীয় প্রতিনিধি দল, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ

সূত্রের খবর, রাজ্যের হোটেল এবং গেস্ট হাউসগুলিতে এক লক্ষেরও বেশী ঘর ফাঁকা পড়ে রয়েছে। পর্যটক না থাকায়, হাজারেও বেশী কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এমনকী, ইন্টারনেট পরিষেবা না ফেরানোয় তথ্যপ্রযুক্তি সংসংথাগুলিতেও কোনও কাজ নেই। 

কাশ্মীর চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি শেখ আসিক বলেন, কাশ্মীর উপত্যকায় যে ক্ষতি হয়েছে, তার ধরণ এবং প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ করা কঠিন, এখনও পর্যন্ত তা স্বাভাবিক হয়নি। তিনি বলেন, “কাশ্মীরের চলতি ব্যবসায় ক্ষতির পরিমাণ ১০,০০০ কোটি টাকা পেরিয়েছে, সমস্ত ক্ষেত্রই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে”।  তাঁর কথায়, “শুধুমাত্র একটি ক্ষেত্রই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা নয়, সেটা পর্যটন হোক, বা হস্তশিল্প, অথবা তথ্যপ্রযুক্তি”। ইন্টারনেট না থাকায় মূল সমস্যা বলে জানান তিনি। 

কর্তারপুর করিডর চালু করতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত

তিনি বলেন, “আজকের দিনে, যে কোনও ব্যবসার প্রাথমিক প্রয়োজন ইন্টারনেট। আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি যে, কাশ্মীরে ব্যবসা মার খাচ্ছে, এবং অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়বে। এর প্রভাব সুদুর প্রসারী হবে”।

স্কুলগুলিও এখনও পুরোপুরিভাবে চালু হয়নি। স্কুলে গড়হাজির ১৪ লক্ষেরও বেশী শিশুর, তবে স্কুলে হাজির রয়েছে শিক্ষকদের।

মঙ্গলবার, জম্মু ও কাশ্মীরে যাচ্ছে ইউরোপিয় ইউনিয়নের ২৭ জনের প্রতিনিধি দল, সেখানে রাজ্যটিকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা এবং বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করার পর থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।

তাঁদের সফরের আগে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। তিনি বলেন, তাঁদের এই সফর, “তাঁদের উন্নয়নের একটি স্পষ্ট ছবি দেবে এবং ওই এলাকায় সরকারের অগ্রাধিকারের বিষয়টিও স্পষ্ট হবে”।

.