This Article is From Nov 06, 2019

“তথ্য এবং প্রমাণ, বিশ্বাস নয়”, অযোধ্যা মামলা নিয়ে বললেন শীর্ষ মৌলবি

কয়েক দশকের পুরানো রাজনৈতিক স্পর্শকাতর এই মামলার সওয়াল-জবাব শেষ হয়েছে, এবং ১৭ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের অবসরের আগেই রায়দানের সম্ভাবনা

“তথ্য এবং প্রমাণ, বিশ্বাস নয়”, অযোধ্যা মামলা নিয়ে বললেন শীর্ষ মৌলবি

আরশাদ মাদানি বলেন, আদালতের বিতর্ক শেষ, এখন রায়ের অপেক্ষা

নয়াদিল্লি:

বিশ্বাস নয়, তথ্য ও প্রমাণের ওপর ভিত্তি করেই হওয়া উচিত আসন্ন বাবরি মসজিদ-রাম মন্দির (Babri Masjid-Ram Temple) মামলার রায়, বুধবার এমনটাই বললেন জমিয়াতে উলেমা-এ-হিন্দের (Jamiat Ulema-e-Hind) প্রধান আরশাদ মাদানি (Arshad Madani) । মানুষের কাছে শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষার আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, বিপরীত হলেও রায়কে সম্মান জানাবে তাঁর সংগঠন। কয়েক দশকের পুরানো রাজনৈতিক স্পর্শকাতর এই মামলার সওয়াল-জবাব শেষ হয়েছে, এবং ১৭ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের অবসরের আগেই রায়দানের সম্ভাবনা। সংবাদসংস্থা পিটিআই, আরশাদ মাদানিকে উদ্ধৃত কে জানিয়েছে, “প্রত্যেক বিচার-প্রেমী মানুষই চান, কঠোর তথ্য ও প্রমাণের ওপর ভিত্তি করেই মামলার রায়দান হোক, এবং তা বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে নয়”।

অযোধ্যা রায়ের আগে শান্তিরক্ষার আহ্বান হিন্দু-মুসলিম, উভয় সম্প্রদায়ের

জমিয়াতে উলেমা-এ-হিন্দের প্রধান বলেন, “আদালতের বিতর্ক শেষ হয়েছে, এখন আমরা রায়দানের অপেক্ষা করছি। আমাদের আইনজীবী রাজীব ধাওয়ান তথ্যের ওপর ভিত্তি করে খুবই জোরদার সওয়াল করেছেন, এবং আমাদের বিশ্বাস, রায় আমাদের পক্ষেই যাবে। আমরা আবারও বলছি, দেশ আমাদের, আইন আমাদের, এবং সুপ্রিম কোর্ট আমাদের। আমরা প্রমাণ দিয়েছি। রায় যাই হোক না কেন, আমরা তাকে সম্মান জানাব”।

একদিন আগেই দিল্লিতে মুসলিম ধর্মগুরুদের সঙ্গে বৈঠক করে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ, সেখানে যে কোনও পরিস্থিতি শান্তি বজায় রাখার ওপর জোর দেওয়া হয়।

“বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্ব অযোধ্যা মামলা”, বললেন ভাবী প্রধানবিচারপতি এসএ বোবদে

সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নাকভি, বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, “আজ একটি ঐতিহাসিক আলোচনা হয়, যেখানে যোগদান করেছিলেন মুসলিম বুদ্ধিবীজী ও ধর্মগুরুরা। সেই বৈঠকে, যে কোনও পরিস্থিতিতে দেশে, একতা এবং সৌভ্রাতৃত্ব বজায় রাখার জন্য সবরকম চেষ্টা করা হবে”।

আজকের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি দেখতে ক্লিক করুন: 

অযোধ্যায় ২.৭৭ একর জমি নিয়ে বিবাদ, দক্ষিণপন্থী আন্দোলনকারীদের বিশ্বাস সেখানে রামমন্দির ছিল। ১৬ শতকের একটি মসজিদ, যেটি মোঘল সম্রাট বাবর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে মনে করা হয়, দক্ষিণপন্থী কর্মীরা সেটি ১৯৯২ এর ডিসেম্বরে ভেঙে দেন।

 PTI এর তথ্য সংযোজিত হয়েছে

.