This Article is From Sep 28, 2019

খন্দেরি, ভারতের দ্বিতীয় স্কর্পিন সাবমেরিন উদ্বোধন করে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি রাজনাথ সিংয়ের

INS Khanderi: মুম্বইয়ে দাঁড়িয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, "আইএনএস খন্দেরির উদ্বোধন করতে পেরে আমি গর্বিত"

খন্দেরি, ভারতের দ্বিতীয় স্কর্পিন সাবমেরিন উদ্বোধন করে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি রাজনাথ সিংয়ের

Indian Navy: আইএনএস খন্দেরি হল ভারতীয় নৌবাহিনীতে চালু হওয়া দ্বিতীয় অ্যাটাক সাবমেরিন।

মুম্বই:

আরও শক্তিশালী হল ভারতীয় নৌসেনা। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) আজ (শনিবার) মুম্বইয়ে আইএনএস খন্দেরিকে ভারতীয় নৌবাহিনীর (Indian Navy) সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজ হিসাবে কাজে যোগ দেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। ওই সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজটির (INS Khanderi) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসাবে বক্তব্য রাখার সময় প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, "আইএনএস খন্দেরিকে নৌবাহিনীতে যোগ করতে পেরে আমি গর্বিত বোধ করছি। ৭৫ প্রকল্পের আওতায় এই সাবমেরিনটি ভারতেই নির্মিত হয়েছে। এটি ফ্রান্সের সঙ্গে আমাদের বিশেষ সম্পর্কের প্রতীক, কারণ এই প্রকল্পটিতে ফ্রান্স আমাদের সহযোগিতা করেছে। "আমরা আমাদের নৌবাহিনীকে নিয়ে গর্বিত। একাত্তরে, নৌবাহিনী পাকিস্তানকে পরাস্ত করতে বিশাল ভূমিকা নিয়েছিল। পাকিস্তানের উচিত আমাদের সক্ষমতা মনে রাখা এবং এই বিষয়েও সতর্ক থাকা যে প্রয়োজনে আমরা সেগুলি ব্যবহারও করতে পারি।"

জলের নীচে হামলার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে জইশ-ই-মহম্মদ, জানালেন নৌসেনা প্রধান

নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল করমবীর সিং বলেন, "খন্দেরির যোগদান ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধক্ষেত্রের সক্ষমতা অর্জনের এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। জটিল পরিস্থিতিতেও এটি আমাদের দক্ষতার প্রমাণ দিতে সক্ষম। দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত এই অত্যাধুনিক সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজটি ভারতীয় নৌবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে তুলল"।

সাবমেরিনের কমান্ডিং অফিসার ক্যাপ্টেন দলবীর সিং এনডিটিভিকে বলেছেন, "অস্ত্র ও সেন্সরগুলির অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং স্টিলথ প্রযুক্তি সহ তৈরি হওয়া এই নতুন সাবমেরিনটি নিজের ভূমিকা পালন করবে বলে আমি অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী।"

"স্কর্পিন বিশ্বের অন্যতম উন্নত সাবমেরিন এবং ভারতবর্ষে আমরা একে কলভারি শ্রেণির সাবমেরিন বলে থাকি। ২০১৭ সালে আমরা প্রথম স্কর্পিন সাবমেরিনকে আইএনএস কালভারি বলে উল্লেখ করি। খন্দেরি দ্বিতীয় স্কর্পিন সাবমেরিন যা থেকে আমরা টর্পেডো নিক্ষেপ করতে পারি। ক্যাপ্টেন দলবীর সিং বলেন,  'টর্পেডো, মিসাইল ও মাইনস সমস্তই আমরা এই সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপ করতে সক্ষম। আমাদের হেভিওয়েট অ্যান্টি শিপ এবং অ্যান্টি সাবমেরিন টর্পেডো রয়েছে, যার স্টেলথ প্রযুক্তি খুবই উন্নত এবং যন্ত্রপাতিটি যথেষ্ট স্থিতিশীল এবং এটি শত্রুদের এই সাবমেরিনটি শনাক্ত করতে বাধা দেয়"।

ব্যালিস্টিক মিসাইল বিশিষ্ট সাবমেরিনকে নির্দিষ্ট দায়িত্বে মোতায়েন করল নৌ বাহিনী

খন্দেরিকে ১ জুন, ২০১৭ সালে সমুদ্রে নামানো হয়।  তারপর থেকে এটি সমুদ্রের বিভিন্ন স্থানে পরীক্ষামূলকভাবে কাজ চালিয়েছে। সাবমেরিনটি তার লড়াইয়ের ক্ষমতা যাচাই করতে একাধিক টর্পেডো এবং ক্ষেপণাস্ত্রও নিক্ষেপ করেছে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে, ১৯ সেপ্টেম্বর এমডিএলর নৌকায় করে ভারতীয় নৌবাহিনীতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে খন্দেরিকে।

পুজোয় অসুর বৃষ্টিকে পাত্তা নয়! দেখুন ভিডিও

.