This Article is From Mar 19, 2019

গণধর্ষণ করে ১২ বছরের কিশোরীর মুন্ডু কেটে ফেলে দিল নিজের কাকা ও ভাইরা

স্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়ে মেয়েটি যখন বাড়ি ফিরছিল তখনই তাঁর এক ভাই তাঁকে কাকার বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে তিনজন পুরুষ তাঁকে গণধর্ষণ করে

গণধর্ষণ করে ১২ বছরের কিশোরীর মুন্ডু কেটে ফেলে দিল নিজের কাকা ও ভাইরা

নিজের ভাই ও কাকা মিলে গণধর্ষণ করে খুন করে ১২ বছরের কিশোরীকে

সাগর, মধ্যপ্রদেশ:

কতখানি পাশবিক হতে পারে গণধর্ষণ তাঁর দৃষ্টান্ত স্থাপন করল মধ্যপ্রদেশ। নিজের কাকা ও ভাইদের গণধর্ষণের শিকার ১২ বছরের কিশোরী। তবে ধর্ষণ করেই শেষ হয়নি অত্যাচার, ধর্ষণ করে কিশোরীর ধড় থেকে মুন্ডু বিচ্ছিন্ন করে মাঠে ফেলে দিয়ে যায় অভিযুক্ত স্বজনেরা। মধ্যপ্রদেশের সাগরে ওই কিশোরীর ভাই ও কাকা ১৪ মার্চ তারিখে তাঁকে অপহরণ, গণধর্ষণ ও হত্যা করে বলে অভিযোগ। ওই একই দিন গ্রামের বাইরের দিকে একটি মাঠে মুন্ডুহীন অবস্থায় তাঁর লাশ পাওয়া যায়। ১৩ মার্চ স্কুল থেকে ফিরে আসার পথে নিখোঁজ হয় ওই কিশোরী, তাঁর পরিবার সন্ধানও শুরু করে। পরে কিশোরীর বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের করেন। 

কাঁচি দিয়ে কুপিয়ে স্ত্রী'কে হত্যা করার পর কী করল এই ব্যক্তি, জানুন

কিশোরীর কাকাকে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান, ওই একই গ্রামে বসবাসকারী ছোটে প্যাটেল নামের একজন এই খুন করেছেন। প্যাটেল ও তাঁদের পরিবারের মধ্যে জমি বিবাদ নিয়েই এই ঘটনা বলে পুলিশকে জানান তাঁর কাকা। মৃতার কাকা মামলার তদন্তকারীদের ভুল তথ্য দিয়ে অন্য পথে চালিত করার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন পুলিশ কর্মকর্তা অমিত সাংহী। এনডিটিভিকে তিনি বলেন, “পোস্টমর্মেম ও মেডিক্যাল রিপোর্টে নিশ্চিত করে বলা হয়েছে যে মেয়েটি ধর্ষিত হয়েছে"।

তিনি আরও বলেন, “আমাদের দুইজন সিনিয়র কর্মকর্তা সব প্রমাণ সংগ্রহ করে পরিবারের সদস্যদের বিবৃতি রেকর্ড করে। যখন সবকিছু নিয়ে একসঙ্গে আমরা  মেলাতে থাকি দেখি, মেয়েটির ভাই ও কাকাই তাঁকে ধর্ষণ ও খুন করেছে। আমরা কাকা ও ভাইদের একজনকে গ্রেফতার করেছি।” রক্তাক্ত কাপড় এবং খুনের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত একটি কাস্তেও উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ এখনও অভিযুক্ত বাকি ভাইদের সন্ধান করছে।

 "চৌকিদার বড়লোকদের জন্য, কৃষকদের জন্য নয়", মোদীকে তোপ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর

ঘটনার ভয়াবহতার ক্রম বর্ণনা করে ওই পুলিশ অফিসার জানান যে, স্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়ে মেয়েটি যখন বাড়ি ফিরছিল তখনই তাঁর এক ভাই তাঁকে কাকার বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে তিনজন পুরুষ তাঁকে গণধর্ষণ করে এবং মেয়েটি যখন পুলিশের কাছে যাওয়ার হুমকি দেয় তখন তাঁর কাকীমা তাঁকে মারধোর করে। পরে মেয়েটির মাথা কেটে তাঁর শরীর একটি মাঠে ফেলে দেওয়া হয়।

.