This Article is From Nov 24, 2018

"শেষবার সূর্যকে অস্ত যেতে দেখছি বোধহয়", ডায়েরিতে লিখেছিলেন সেন্টিনেলে মৃত আমেরিকান

নর্থ সেন্টিনেল আইল্যান্ডে ফিরে যাওয়ার আগের রাতটিতে জন চাউয়ের মনে একটি ভয় কাজ করছিল। সে ভয় মৃত্যুর। তাঁর মনে হচ্ছিল বারবার যে, মৃত্যু আর খুব বেশি দূরে নেই।

প্রাথমিকভাবে সেন্টিনেল আইল্যান্ডের বাসিন্দাদের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ মোটেই মধুর ছিল না।

নর্থ সেন্টিনেল আইল্যান্ডে ফিরে যাওয়ার আগের রাতটিতে জন চাউয়ের মনে একটি ভয় কাজ করছিল। সে ভয় মৃত্যুর। তাঁর মনে হচ্ছিল বারবার যে, মৃত্যু আর খুব বেশি দূরে নেই। "আমার ভয় লাগছে। সত্যিই খুব ভয় লাগছে", লিখেছিলেন ২৬ বছর বয়সী মার্কিন পর্যটক। যিনি সেন্টিনেল আইল্যান্ডের বাসিন্দাদের ক্রিশ্চান ধর্মে দীক্ষিত করতে চেয়েছিলেন। তিনি মৃত্যুর আগের দিনের শেষ গোধূলি দেখতে দেখতে লিখেছিলেন, " সূর্যের অস্ত যাওয়া দেখছি। কী অপূর্ব সুন্দর। এই সৌন্দর্যের কোনও ব্যাখা হয় না। চোখে জল এসে যায়...খালি মনে হচ্ছে একটিই কথা, এটাই আমার শেষ দেখা সূর্যাস্ত কি?"


নির্বাচনে না জিতেও হওয়া যাবে মেয়র, বিধানসভায় বিল পাশের পরেই চেয়ারে ববি

প্রাথমিকভাবে সেন্টিনেল আইল্যান্ডের বাসিন্দাদের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ মোটেই মধুর ছিল না। সেন্টিনেল আইল্যান্ডের বাসিন্দারা বাইরের পৃথিবীর মানুষের সঙ্গে মিশতে চান না। স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না। প্রথমদিনই ওই দ্বীপের বাসিন্দা এক অল্পবয়সী কিশোর তাঁকে লক্ষ করে তীর ছুঁড়েছিলেন, যে তীর তাঁর ওয়াটারপ্রুফ বাইবেলকে এফোঁড়ওফোঁড় করে দেয়। 

ব্লগঃ টেলিফোন বুথের দিনকাল ও শ্যামল কাকা

তবুও পিছিয়ে আসেননি জন চাউ। চেয়েছিলেন, একবার শেষ চেষ্টা করতে। শেষবারের মতো বাকি দুনিয়া থেকে স্বেচ্ছায় নিজেদের পরিত্যক্ত করে রাখা মানুষগুলোর কাছে যেতে। তাঁদের এই কথা বোঝাতে যে, তিনি আসলে ঈশ্বরের বার্তা নিয়েই উপস্থিত হয়েছেন এখানে। কোনও ক্ষতি করতে আসেননি। 

তাঁর ডায়েরিতে তিনি শেষদিন লিখেছিলেন, "এটা কি সত্যিই শয়তানের দ্বীপ, ঈশ্বর? যেখানে কেউ কখনও কোনওদিনও তোমার নাম শোনেনি৷ জানার বিন্দুমাত্র চেষ্টাও করেনি?"

যে মৎস্যজীবীরা তাঁকে ওই দ্বীপে নিয়ে গিয়েছিল, তাঁদের কাছেই তিনি পেন ও পেনসিলে লেখা ডায়েরির ১৩'টি পাতা দিয়ে গিয়েছিলেন। 

তাঁর দেহটি পোঁতা ছিল দ্বীপের বালির মধ্যে। দ্বীপের পাশের সমুদ্রের হাওয়ায় কেবলই উড়ে যাচ্ছিল আপনমনে সেই শেষ লেখার পাতাগুলি।

.