This Article is From Mar 09, 2020

‘‘বসন্ত আছে, দোলও...‘কেদার‘ তাপস শুধু নেই’’, আক্ষেপ স্ত্রী নন্দিনীর

আকাশে বাতাসে আবিরের রং আছে। প্রিয়জন সান্নিধ্যে বসন্ত উৎসব আছে। নেই দাদার কীর্তির কেদার তাপস পাল।

‘‘বসন্ত আছে, দোলও...‘কেদার‘ তাপস শুধু নেই’’, আক্ষেপ স্ত্রী নন্দিনীর

দাদার কীর্তি রয়ে গেছে কেদার শুধু নেই!

কলকাতা:

প্রতিবারের মতোই সব আছে। বসন্ত আছে। আকাশে বাতাসে আবিরের রং আছে। প্রিয়জন সান্নিধ্যে উষ্ণ বসন্ত উৎসবও (Holi 2020) আছে। নেই 'দাদার কীর্তি'র 'কেদার' তাপস পাল (Tapas Paul )। প্রথম ছবি থেকে শেষ ছবি 'বাঁশি' পর্যন্ত যাঁর ইমেজ বাঙালির 'সাহেব'। তাঁর হঠাৎ চলে যাওয়া বেজেছে টালিগঞ্জের তারকাদের। অভিনেতাদের রাজনীতিতে আসা উচিত কিনা---তাই নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা তাপসের অকালপ্রয়াণের পর। ৯ মার্চ দোল উদযাপনের দিনে তাপসের অভাব যেন বড় বেশি করে টের পাচ্ছেন তাঁর স্ত্রী নন্দিনী I(Nandini Paul)। তাই ফেসবুকে দোলের পুরনো ছবি শেয়ার করে বারেবারে যেন আঁকড়ে ধরতে চেয়েছেন মধুমাসে হারিয়ে যাওয়া মধুর স্মৃতিকে।

ibdt1fb8

বছর দুই আগের দোলেও এভাবেই যুগল মূর্তি দেখেছিলেন টালিগঞ্জ পাড়া। তাপস পালের অনুরাগী, সমর্থকেরা। স্ত্রী নন্দিনীকে সঙ্গে নিয়ে সবার সঙ্গে রং খেলেছিলেন তাপস। সেসবই আজ স্মৃতি। অভিশপ্ত ১৮ ফেব্রুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিরদিনের মতো থেমে যায় 'দাদার কীর্তি'। ১৯৮০ সালের প্রথম ছবি 'দাদার কীর্তি'র নায়ক 'কেদার' তাপস যে বসন্তকে প্রেমের দূত করে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন বাঙালির মনে, ২০২০-তে সেই বসন্ত উৎসবের আগেই 'নেই' তিনি!

bdbcojo8

বাংলা ছবিতে প্রথম দিন থেকে শেষ পর্যন্ত তাঁর ইমেজ পাশের বাড়ির ছেলে। চোখমুখের সারল্য, নিষ্পাপ হাসি দিয়ে তরুণ মজুমদারের 'দাদার কীর্তি' (Dadar Kirti) ছবিতে প্রথম অভিনয় করেই মন জিতেছিলেন আবালবৃদ্ধবণিতার। এই ছবি দিয়েই তাপস প্রথম জুটি বাঁধেন বাংলা ছবির সেই সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা মহুয়া রায়চৌধুরীর সঙ্গে। এই জুটি একসময় হয়ে উঠেছিলেন দর্শকদের খুব বুকের কাছের। তাপস-মহুয়া অভিনীত 'সাহেব', 'পারাবত প্রিয়া', 'অনুরাগের ছোঁয়া', 'আশীর্বাদ' ছবিগুলি তাঁদের সময়ের ব্লকবাস্টার হিট। শেষদিন পর্যন্ত সেই সারল্য ধরা ছিল তাপসের মুখ-চোখে, হাসিতে।

pji8r6u

মেয়ে সোহিনী, স্ত্রী নন্দিনী ছিলেন তাঁর প্রাণ। কিছুদিন আগেই নন্দিনী একাধিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, সঠিক চিকিৎসার অভাবেই চলে গেলেন তাপস। মুম্বইয়ের হাসপাতালে একেবারেই সঠিক চিকিৎসা হয়নি তাঁর। ঠিকমতো খাবার দেওয়া হত না তাঁকে। বেঁধে রাখা হত বেডের সঙ্গে। সুস্থ হয়ে ভেন্টিলেশন থেকে বেরোনোর পরে তাপসের দেখভাল নাকি করতেন ট্রেনি ডাক্তার। এরপরেই পরপর হৃদরোগ। এবং একরাতের মধ্যে সবশেষ। ১৭ ফেব্রুয়ারি নন্দিনী ঠিক করেছিলেন, তিনি কলকাতায় নিয়ে আসবেন তাপসকে চিকিৎসার জন্য।

উত্তমকুমার-সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের আজীবনের দ্বৈরথ একসময় আট, নয়ের দশকে দেখা গেছিল তাপস পাল-প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে। সাংসদের রাজনৈতিক জীবন বহু বিতর্কে বিতর্কিত। তবু তাঁর সময়ে বাংলা ছবিতে অনুরাগের ছোঁয়া থেকে প্রেম, অভিমান, জীবনযুদ্ধের কাহিনি পর্দায় জীবন্ত করেছিলেন তিনিই। আজও দোলের দিন পাড়ায় পাড়ায় বেজে ওঠে 'দাদার কীর্তি'র 'এল রে এল রে এল হোলি এল রে' গান। সেই গানের হাত ধরে প্রতিবার যখন বসন্ত আসবে তখন 'সুরের আকাশে' শুকতারা হয়ে জ্বলবেন আপামর বাঙালির 'নয়নের মণি' 'কেদার' তাপস পাল।

.