This Article is From Jun 12, 2020

"লোভ বিষ!" ফাতিমা মহলকে ঘিরে কিপটে মির্জা আর নির্লজ্জ বাঁকের গল্প গুলাবো-সিতাবো

ছবির প্রতি স্তরে সম্পর্কের ছাপ। চাওয়া-পাওয়ার গল্প। রসিকতার আড়ালে এই স্তরগুলো শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দর্শক উৎসাহ বজায় রেখেছে

Gulabo Sitabo- ছবির পোস্টারে অমিতাভ বচ্চন এবং আয়ুষ্মান খুরানা (সৌজন্য: primevideoin)

অভিনয়: অমিতাভ বচ্চন, আয়ুষ্মান খুরানা, বিজয় রাজ, ব্রিজেন্দ্র কালা, সৃষ্টি শ্রীবাস্তব, ফারুক জাফর

পরিচালক: সুজিত সরকার

রেটিং: ৩.৫ স্টার (৫)

হাস্যরসের আড়ালে বোনা কিপটে বুড়ো বাড়িওয়ালা-বিটকেল ভাড়াটের গল্প গুলাবো-সিতাবো। লখনউয়ের এক বাড়িকে ঘিরে গল্পের বুনোট। পরিচালক সুজিত সরকার আর চিত্রনাট্যকার জুহি চতুর্বেদীর জুটির ইউএসপি ঘরের গল্প বলা। পিকুর সময় থেকে সেই ট্রেন্ড চলছে। বড়পর্দার জৌলুস পেরিয়ে বলিউড যখন অনলাইন স্ট্রিমিংমুখী; তখনও সেই ইউএসপি অটুট। যদিও এই ছবির অনলাইন মুক্তি ঘিরে পরিচালক-অভিনেতার একপ্রস্থ মন কষাকষি তৈরি হয়েছিল।  কিন্তু অ্যামাজন প্রাইমে মুক্তির প্রথম দিনে যেভাবে প্রশংসা কুড়লো গুলাবো-সিতাবো; তাতে সেই মন কষাকষি কিছুটা দূর হবে, এমনটাই দাবি সিনে সমালোচকদের। সম্পর্কের সরল ও জটিল দিকগুলো বেশ ভালো বুনতে পারেন পরিচালক সুজিত সরকার। ভিকি ডোনার হোক, পিকুর বাপ-মেয়ে হোক বা এই ছবির বাড়িওয়ালা-ভাড়াটে। দেখলে মনে হবে নিজেদের মহল্লার কথা বললেন সুজিত-জুহি জুটি।  ছবির প্রতি স্তরে সম্পর্কের ছাপ। চাওয়া-পাওয়ার গল্প। রসিকতার আড়ালে এই স্তরগুলো শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দর্শক উৎসাহ বজায় রেখেছে। ফলে ছবির দুই মূল চরিত্র মির্জা, বাঁকে আর তাঁদের প্রিয় ফাতিমা মহলকে ঘিরে নিত্য বিতণ্ডা বেশ বিনোদন দিয়েছে দর্শকদের। ছবির পরতে পরতে হাস্যরস। সেটাও চিত্রনাট্যকে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। 

দেখুন ছবির ট্রেলর

এই ছবিতে বাঁকে অর্থাৎ আয়ুষ্মান খুরানা স্কুল ড্রপআউট এক নিরাশ যুবকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তাই অত্যন্ত মুখোড়া ও নির্লজ্জ একটি ছেলে। মামার তদারকিতে ছোট থেকে বড় হয়েছে বাঁকে ও তাঁর তিন বোন। সেই বাড়ির পিছনের দিকে একটা ঘর নিয়ে মা-ছেলে ও তিন বোনের বাস। ছোটবেলাতে বাবাকে হারায় বাঁকে।

m9u3ifr

ছবির একটি স্থিরদৃশ্যে অমিতাভ বচ্চন ও আয়ুষ্মান খুরানা। 

nl2uq2bgছবির একটি স্থিরদৃশ্যে অমিতাভ বচ্চন ও আয়ুষ্মান খুরানা

এদিকে, মির্জার মত, তাঁর ভাড়াটিয়ারা পরজীবী। খুব কম ভাড়া দিয়ে থাকতে চান তাঁরা। তাই এঁদের উচ্ছেদের ভাবনা জাঁকিয়ে বসে মির্জার মনে। কিন্তু নাছোড় বাঁকে ও তাঁর পড়শিরা। কিপটে এই বুড়োকে শিক্ষা দিতে পরিকল্পনা ফাঁদে তাঁরাও। এভাবেই এগোয় গল্প। এই ছবিতে বাঁকে আর মির্জার একটা ফ্রেম আছে। যেখানে বাঁকের খোঁচা; "লোভ হল বিষ।" সেই খোঁচা খেয়েও নিস্পৃহ মির্জা। তাঁর পাল্টা; "লোভ খেয়ে কেউ এখনও মরেনি।" এভাবেই একে অপরকে কাদা ছিটিয়ে অস্তিত্ব বাঁচানোর সংগ্রামে লিপ্ত হয়। এই ছবিতে পার্শ্বভূমিকায় অভিনয় করলেও; নজরকাড়া বিজয় রাজ ও ব্রিজেন্দ্র কালা। আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অধিকারের ভূমিকায় বিজয় রাজ অন্যদিকে আইনজীবী ক্রিস্টোফার ক্লার্কের ভূমিকায় ব্রিজেন্দ্র কালা। যে বিতর্কিত সম্পত্তির মামলার নিষ্পত্তি করিয়ে মক্কেলদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। আয়ুষ্মান ও অমিতাভ বচ্চনের মতো দুটো চরিত্রের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করে নিজেদের অবস্থান আরও জোরালো করেছেন বিজয় রাজ আর ব্রিজেন্দ্র কালা। দর্শকদের মনে প্রশ্ন এখনও কেন পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করছেন বিজয় রাজ আর ব্রিজেন্দ্র কালা। আরো এই প্রশ্নের যৌক্তিকতা কতটা; তা জানতে অ্যামাজন প্রাইমে দেখতেই হবে গুলাবো-সিতাবো। 

.