
২৯ নভেম্বর রাজাপক্ষে ভারতে আসবেন বলে ট্যুইট করেছেন এস জয়শঙ্কর।
শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) নয়া প্রেসিডেন্ট পদে সোমবার শপথগ্রহণ করেন গোটাব্যা রাজাপক্ষে (Gotabaya Rajapaksa), আগামী মাসে তাঁকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন শ্রীলঙ্কার নয়া প্রেসিডেন্ট, মঙ্গলবার কলোম্বোয় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পর একথা জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ২৯ নভেম্বর রাজাপক্ষে ভারতে আসবেন বলে ট্যুইট করেছেন এস জয়শঙ্কর। শ্রীলঙ্কার নয়া প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে অঘোষিতভাবেই কলোম্বো পৌঁছেছেন এস জয়শঙ্কর, বলেন, তিনি “গোটাব্যা রাজাপক্ষের নেতৃত্বে ভারত-শ্রীলঙ্কা সম্পর্ক আরও উচ্চতায় পৌঁছানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী”। বিদেশমন্ত্রী ট্যুইট করেন, “শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাব্যা রাজাপক্ষের সঙ্গে উষ্ণ বৈঠক। শান্তি, উন্নতি, সমৃদ্ধি এবং নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আমি আত্মবিশ্বাসী যে, তাঁর নেতৃত্বে, ভারত-শ্রীলঙ্কা সম্পর্ক আরও উচ্চতায় পৌঁছাবে”।
Exclusive: মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকিতে থাকবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী, আশা আওয়ামি লিগের
শ্রীলঙ্কায় টাইগার অফ তামিল এলাম বা এলটিটিই-এর সঙ্গে দীর্ঘদিনের গৃহযুদ্ধ চলাকালীন প্রতিরক্ষা সচিব ছিলেন গোটাব্যা রাজাপক্ষে, সেই যুদ্ধের অবসান ঘটানোয় তাঁর কৃতিত্ত্ব রয়েছে। সিংহলের বহু মানুষই তাঁর প্রশংসা করেন এবং বৌদ্ধ যাজকরাও তাঁকে শ্রদ্ধা করেন তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদীদের শেষ করার জন্য নিরাপত্তাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়ে ৩৭ বছরের বিচ্ছিন্নতাবাদী যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটানোর জন্য।
A warm meeting with Sri Lanka President @GotabayaR. Conveyed PM @narendramodi's message of a partnership for shared peace, progress, prosperity & security. Confident that under his leadership, #IndiaSriLanka relations would reach greater heights. pic.twitter.com/pDxZf0ZM3A
— Dr. S. Jaishankar (@DrSJaishankar) November 19, 2019
রাজাপক্ষে বংশের ক্ষমতায় ফেরা ভারতের পক্ষে উদ্বেগের হতে পারে, গোটাব্যা রাজাপক্ষের দাদা মহেন্দ্র রাজাপক্ষে চিনের দিকে ঝুঁকে রয়েছে। যখন মহেন্দ্র রাজাপক্ষে প্রেসিডেন্ট ছিলেন, ভারতকে না জানিয়েই শ্রীলঙ্কার বন্দরে নোঙর করতে পারত চিনা সাবমেরিন।
আজকের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি দেখতে ক্লিক করুন:
সোমবার, একটি বক্তৃতায় রাজাপক্ষে বলেন, সমস্ত দেশের সঙ্গেই বন্ধুত্ত্বপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা করবে শ্রীলঙ্কা, এবং সংঘাত এড়াতে, আন্তর্জাতিক ক্ষমতার বিভিন্ন ইস্যুতে নিরপেক্ষ থাকবে শ্রীলঙ্কা।
(এজেন্সির তথ্য সংযোজিত হয়েছে)