আজকের গুগল ডুডলের (Today's Google Doodle) শ্রদ্ধার্ঘ ইতালীয় দার্শনিক এবং ধর্মবিজ্ঞানী (Italian philosopher and theologian) এলেনা করনারো পিকসোপিয়ার (Elena Cornaro Piscopia) উদ্দেশ্যে। এলেনা করনারো পিকসোপিয়া (Elena Cornaro Piscopia) ইতালির ভেনিসে জন্মগ্রহণ করেন আজকের দিনেই, ৫ জুন, ১৬৪৬ সালে। তিনি ৩২ বছর বয়সে পিএইচডি অর্জনকারী প্রথম মহিলা এবং সারা জীবন জুড়েই তিনি বহু ভাষা, বিষয় এবং অনেক বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার শিখেছিলেন। মাত্র সাত বছর বয়সেই এলেনার বাবা মা তাদের সন্তানের সম্ভাবনাকে চিনতে পেরেছিলেন। এলেনার বাবা মাকে তাঁদেরই এক পারিবারিক মেয়েকে গ্রিক ও ল্যাটিন ভাষা শেখাতে উৎসাহিত করেন। এই ভাষার পাশাপাশি, এলেনা (Elena Cornaro Piscopia) হিব্রু, স্প্যানিশ, ফরাসি এবং আরবি ভাষা শিখেছিলেন।
বলার আগে ভাবুন, কী বলতে চাইছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে পরামর্শ অপর্ণা সেনের
তিনি হারপসিকর্ড, ক্ল্যাভিকর্ড, হার্প এবং বেহালার মতো বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রও বাজাতে শেখেন। এ ছাড়াও, তিনি গণিত এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানের নিয়েও অধ্যয়ন করেন। কিন্তু, তাঁর ব্যক্তিগত ভালো লাগার বিষয় ছিল ধর্মবিজ্ঞান এবং দর্শনশাস্ত্র। ১৬৭২ সালে ভিনেশিয়ান সোসাইটি আকাদেমিয়া ডিই প্যাসিফিকির সভাপতি হওয়ার পর পাডুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এলেনা (Elena Cornaro Piscopia) গবেষণা করতে শুরু করেন।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে থিওলজির ডক্টরেটের জন্য আবেদন করলেও গির্জার কর্মকর্তারা একজন মহিলাকে এই গবেষক স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেন ফলত তাঁর আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়। এতখানি লড়াই করে এবং বাবার সামান্য সমর্থন পেয়ে, এলেনা (Elena Carnaro Piscopia) ডক্টরেট অফ ফিলোসফির জন্য ফের আবেদন করেন।
এবছর বর্ষার আগমনে দেরি হবে এক সপ্তাহ, তবে স্বাভাবিক বৃষ্টিরই সম্ভাবনা
এলেনা করনারোর মৌখিক পরীক্ষাটি ছিল বিশাল আগ্রহের বিষয়। ইতালি জুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমন্ত্রিত প্রফেসর, শিক্ষার্থী, সেনেটর এবং অন্যান্য অতিথিদের মিলিয়ে বিশাল শ্রোতা সমাগম হয় ওই পরীক্ষায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তে পাডুয়া ক্যাথেড্রালে ওই পরীক্ষা পরিচালিত হয়।
অ্যারিস্টটলের লেখাগুলি থেকে নির্বাচিত কঠিন অংশগুলি তিনি ল্যাটিন ভাষায় ব্যাখ্যা করেন। তাঁর ল্যাটিন ভাষায় বক্তৃতা কমিটিকে মুগ্ধ করে। কমিটি গোপন ব্যালটের মাধ্যমে তাঁদের মতামত দেওয়ার পরিবর্তে ডক্টরেট দেওয়ার জন্য জনসমক্ষেই তাদের অনুমোদন প্রকাশ করেন।
গুগলের ডুডলে দেখা যাচ্ছে এলেনার মাথায় বিশেষ সম্মান, আঙুলে সোনার আংটি। তাঁর হাতে দর্শনের একটি বই এবং তার কাঁধে একটি কেপ। বিশ্বের প্রথম এই মহিলা ডক্টরেটকে আজ ডুডল শ্রদ্ধা জানাচ্ছে গুগল।