This Article is From Feb 08, 2020

আমার উদ্বেগ পর্যালোচনা করবে রাজ্য: রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়

রাজ্যপালের আশা, আইনশৃঙ্খলা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পঠনপাঠনের অসুস্থ পরিবেশ সংক্রান্ত তাঁর উদ্বেগ পর্যালোচনা করবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার

আমার উদ্বেগ পর্যালোচনা করবে রাজ্য: রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়

রাজ্যপালের আশা, আইনশৃঙ্খলা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পঠনপাঠনের অসুস্থ পরিবেশ সংক্রান্ত তাঁর উদ্বেগ পর্যালোচনা করবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। (ফাইল ছবি)

হাইলাইটস

  • আমার উদ্বেগ পর্যালোচনা করবে রাজ্য, আশা রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের
  • "রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নৈরাজ্য ও আইন-শৃঙ্খলার অবনতি"
  • রাজ্যপালের এই উদ্বেগ খতিয়ে দেখবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার,দাবি তাঁর
কলকাতা:

বাজেট (WB Assembly Budget Speech) বক্তৃতায় পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলার অবনতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করেননি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Governor)। ছিল না রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নৈরাজ্যের প্রসঙ্গও। কিন্তু রাজ ভবন সূত্রে খবর, বক্তৃতা তৈরির সময় সেই প্রসঙ্গগুলোর উল্লেখ করতে সরকারকে অনুরোধ করেছিলেন তিনি (Jagdeep Dhankar)। তবে, চূড়ান্ত খসড়ায় সেই প্রসঙ্গের উল্লেখ ছিল না। তাও রাজ্যপালের আশা, আইনশৃঙ্খলা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পঠনপাঠনের অসুস্থ পরিবেশ সংক্রান্ত তাঁর উদ্বেগ পর্যালোচনা করবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার (WB Government)।  শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল বলেন, "আমি নিশ্চিত সরকার আমার দেওয়া পরামর্শগুলো পর্যালোচনা করবে। সরকার ভেবে দেখবে আমি ঠিক না ভুল।" বাজেট অধিবেশনের উদ্বোধনী ভাষণে ইতিহাস তৈরি করবেন রাজ্যপাল।এমন ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন জগদীপ ধনখড়।

কী সেই ইতিহাস? তাহলে কি সরকারের লিখে দেওয়া খসড়ার বাইরে নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করবেন তিনি? না কোনও বিতর্কিত প্রসঙ্গের কথা উল্লেখ করে রাজ ভবন-নবান্ন দ্বন্দ্বকে উসকে দেবেন ধনখড়। এই ভাবনায় যখন মশগুল রাজনৈতিক মহল, তখন প্রোটোকল মেনে সরকারের লিখে দেওয়া বাজেট বক্তৃতার খসড়াই পাঠ করেন রাজ্যপাল।

যদিও, বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, খসড়ার বাইরে কোনও বাড়তি কথা রাজ্যপাল বললে, সেটা রেকর্ড করা হবে না। কিন্তু সেসব জল্পনা উড়িয়ে প্রচলিত পথেই হাঁটেন জগদীপ ধনখড়। সেই বাজেট বক্তৃতার পর অধ্যক্ষর ঘরে খোশমেজাজে দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপালকে। যে ছবিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বাম ও কংগ্রেস।

‘‘সংঘাত নয়, সমন্বয়...'': রাজ্য সরকারের প্রতি আর্জি রাজ্যপালের

এদিকে, সেই বক্তৃতা প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেছেন, আমি কোনও দ্বন্দ্ব চাই না। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার, দু'পক্ষই সংবিধান স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান। তাই দুজনের মধ্যে বিভেদ চাই না। তবে খসড়া লেখার সময় আমি কিছু পরামর্শ দিয়েছিলাম। রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হাল, শিক্ষাব্যবস্থা ও আমলাতন্ত্রের বেহাল দশা নিয়ে আমি উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলাম। আশা করবো সেগুলো পর্যালোচনা করা হবে।এদিকে, আশঙ্কা করা হয়েছিল যে রাজ্য সরকারি বিবৃতি পড়তে সম্মত হবেন না রাজ্যপাল। কিন্তু সব জল্পনায় জল ঢেলে  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের লিখে দেওয়া বয়ানই পড়লেন জগদীপ ধনখড়। কিন্তু সরকারি বয়ানই পড়লেন তিনি। 

গান্ধিঘাটে শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান, ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারকে ধমক Jagdeep Dhakhar-এর

যে কোনও বিরুদ্ধ মত প্রকাশ্যে এলেই তার কণ্ঠ রোধ করাই এখন "দেশপ্রেমের নামে নতুন কায়দা", একথাও বলেছেন তিনি। "দেশের নতুন নিয়ম" এখন অসহিষ্ণুতা, গোঁড়ামি এবং বিদ্বেষ, রাজ্য সরকারের লেখা বিবৃতি পাঠের সময় উল্লেখ করেন রাজ্যপাল।রাজ্য সরকারের লিখে দেওয়া ওই বিবৃতিতে সিএএ বা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতার পাশাপাশি এ রাজ্যে এনআরসি বা জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণ ও এনপিআর বা জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন কার্যকর না করার দাবিও ছিল বলে জানা গেছে।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.