রাজ্য নেতাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি
কলকাতা: শরিকদের বিরোধিতার মাঝেই প্রতিটি জেলা সংগঠনকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা করা যায় কি না,তা নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করতে বলল সিপিএম। এই রিপোর্ট তৈরির নির্দেশ দিয়ে প্রতিটি আসনের হালহকিকত বুঝে নিতে চাইছে আলিমুদ্দিন। সেই রিপোর্ট পেশ হবে কেন্দ্রীয় কমিটি এবং পলিটব্যুরোর বৈঠকে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে সেখানেই। এ নিয়ে বুধবার বৈঠক করে সিপিএমের রাজ্য কিমিটি। রাজ্য নেতাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। বৈঠকে বর্ধমান আর জলপাইগুড়ির মতো কয়েকটি জেলা ছাড়া সমস্ত জেলাই কংগ্রেসের হাত ধরার পক্ষে মত দিয়েছে বলে খবর। তবে এখন যা পরিস্থিতি তাতে কংগ্রেস এবং সিপিএমের মধ্যে আসন সমঝোতা আদৌ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে।
বিজেপিকে আটকাতে কংগ্রেস হাইকমান্ড তৃণমূলের সঙ্গে জোট করার ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা শুরুর করেছে। একই সঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের প্রশ্নে বিরোধিতা করেছে বামফ্রন্টের শরিকরাও। ফরওয়ার্ড ব্লক জানিয়েছে সিপিএম এবং কংগ্রেসের মধ্যে জোট হলে তারা বামফ্রন্টে নাও থাকতে পারে। এরই মধ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে নতুন করে ভাবনা চিন্তা শুরু হল সিপিএমের অন্দরে।
তৃণমূল বিরোধী ভোট যাতে ভাগ না হয় তা সুনিশ্চিত করতেই কংগ্রেস এবং সিপিএমের কাছাকাছি আসা। সিপিএমের কেরালা লবি আপত্তি করলেও গত বিধানসভা নির্বাচনে দুই দলের মধ্যে আসন সমঝোতা হয়। কিন্তু তাতে তৃণমূলকে হারানো যায়নি। এরপর সিপিএমের একটা বড় অংশ জোট প্রশ্নে আপত্তি তোলে। এ বছরের জানুয়ারি মাসে কলকাতায় হওয়া দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে জোটপন্থীদের পরাজয় হয়। তবে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলায়। হায়দরাবাদের পার্টি কংগ্রেসে নিজেদের মতকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন বঙ্গজ নেতারা। সেই রেশ ধরেই আবারও শুরু হল জোট প্রস্তুতি। দলের এক প্রবীণ নেতা জানিয়েছেন, বিজেপি এবং তৃণমূল উভয়কে হারাতেই কংগ্রেসকে পাশে নেওয়া প্রয়োজন। ধর্ম নিরপেক্ষ শক্তি হিসেবে কংগ্রেসের কোনও বিকল্প নেই।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)