This Article is From Jul 29, 2020

ট্রেন যাত্রায় কোভিড প্রোটোকল প্রকাশ করল ভারতীয় রেল! দেখুন কী করণীয়, কী নয়

সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪২,০২২ জন। ফলে রাজ্যে করোনা থেকে সুস্থতার হার বেড়ে এখন ৬৬.৭৪% তে পৌঁছেছে

ট্রেন যাত্রায় কোভিড প্রোটোকল প্রকাশ করল ভারতীয় রেল! দেখুন কী করণীয়, কী নয়

ফাইল ছবি।

নয়াদিল্লি:

ট্রেন যাত্রায় কী করণীয় আর কী করণীয় নয় গাইডলাইন প্রকাশ করলো রেল মন্ত্রক (Following health protocols during train travel)। করোনা সংক্রমণ রুখতে জারি করা এই গাইডলাইনে উল্লেখ, "স্টেশনে চড়তে একমাত্র ই-টিকিট গ্রাহ্য। কার্ফু পাস না আনলেও চলবে। ট্রেন ছাড়ার দেড়ঘণ্টা আগে সংশ্লিষ্ট স্টেশনে পৌঁছতে হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্ক্রিনিংয়ে রেলকর্মীদের সহযোগিতা করতে হবে। একমাত্র উপসর্গহীন (Assymptomatic passengers) যাত্রীরা ট্রেন যাত্রা করতে পারবেন। ট্রেন ওঠার আগে ও নামার পরে স্যানিটাইজিশন দেওয়া হবে। ফেসমাস্ক (Face Mask) পরে অবশ্যিক।" ওই গাইডলাইনে বলা, "পানীয় জল, খাবার, বালিশ, চাদর বাড়ি থেকে আনতে হবে। এই পরিষেবা প্রদান করবে না রেল। ট্রেন যাত্রায় ফোনে আরোগ্য সেতু অ্যাপ্লিকেশন থাকা আবশ্যিক।" পাশাপাশি হাল্কা ও মাঝারি লাগেজ বহনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ট্রেন যাত্রায় সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় বাধ্যতামূলক। গন্তব্য স্টেশনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা সেই রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বিধির নিয়ন্ত্রণাধীন। এদিকে, করোনা সংক্রমণের (Coronavirus) গতি যেন ক্রমশই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে। বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক যে পরিসংখ্য়ান দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮,৫১৩ জন নতুন করোনা রোগীর সন্ধান মিলেছে।

এর ফলে ভারতে করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা বেড়ে ১৫,৩১,৬৬৯ এ পৌঁছলো। মঙ্গলবার সারা দিনে ৭৬৮ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। দেশে এখনও পর্যন্ত মোট ৩৪,১৯৩ জনের প্রাণ কেড়েছে কোভিড-১৯। তবে চিকিৎসা সহায়তায় সারা দেশে মোট  ৯,৮৮,০২৯ জন মানুষ করোনাকে হারিয়ে সুস্থ জীবনে ফিরে গেছেন। দেশে এখন করোনা থেকে পুনরুদ্ধারের হার ৬৪.৫০ শতাংশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রাজিলের পরে করোনা সংক্রমণের বিচারে বিশ্ব তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে আছে ভারত।

দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে মহারাষ্ট্রে। সেখানে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। তবে মহারাষ্ট্র ছাড়াও যে রাজ্যগুলোতে করোনার প্রকোপ দেখা গেছে তার মধ্যে অন্যতম হলো তামিলনাড়ু, দিল্লি, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ।

এরাজ্যে যেভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাতে উদ্বেগ বেড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অন্দরমহলে। মঙ্গলবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যানে প্রকাশ, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২১৩৪ জন। তবে, অত্যন্ত আশার খবর হল এই সময়ের মধ্যে সেরেও উঠেছেন ২১০৫ জন। ফলে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যেখানে ৬২,৯৬৪, সেখানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা মাত্র ১৯,৪৯৩ জন। অর্থাৎ ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪২,০২২ জন। ফলে রাজ্যে করোনা থেকে সুস্থতার হার বেড়ে এখন ৬৬.৭৪% তে পৌঁছেছে।

.