This Article is From Apr 07, 2020

‘‘আপনার করোনা সংক্রমণ হোক’’, রায়ে অসন্তুষ্ট আইনজীবীর অভিশাপ হাইকোর্টের বিচারপতিকে

বিচারপতি যখন তাঁর রায় শোনাচ্ছিলেন, তখনই রেগে গিয়ে মেজাজ হারান ওই আইনজীবী। তিনি বিচারপতিকে বাধা দিতে টেবিল চাপড়াতে থাকেন।

‘‘আপনার করোনা সংক্রমণ হোক’’, রায়ে অসন্তুষ্ট আইনজীবীর অভিশাপ হাইকোর্টের বিচারপতিকে

গত ১৫ মার্চ থেকে কলকাতা হাইকোর্টে কেবল জরুরি মামলার শুনানিই হচ্ছে।

কলকাতা:

রায় সন্তোষজনক না হওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এক বিচারপতিকে মামলার আইনজীবী অভিশাপ দিলেন। জানালেন, তিনি চান ওই বিচারপতি যেন করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হন। বিচারপতির উদ্দেশে এমন অসম্মান‌জনক আচরণের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনেছেন ওই বিচারপতি। বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তর এজলাসে সওয়াল করছিলেন আইনজীবী বিজয় অধিকারী। আদালতের মর্যাদাহানি করা এবং এক মহান পেশার সদস্য হিসেবে যথাযথ ব্যবহার না করার অভিযোগ আনা হয়েছে বিজয়ের বিরুদ্ধে। তাঁকে জবাব দেওয়ার জন্য ১৪ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি জানিয়েছেন, এই বিষয়ের শুনানি সংশ্লিষ্ট ডিভিশনে হবে।

গত ১৫ মার্চ থেকে কলকাতা হাইকোর্টে কেবল জরুরি মামলার শুনানিই হচ্ছে। ২৫ মার্চ থেকে কেবল ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমেই শুনানি হচ্ছে।

আইনজীবী বিজয় অধিকারী চেয়েছিলেন তাঁর মক্কেলের একটি বাসের নিলামের উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হোক। প্রসঙ্গত, তাঁর মক্কেল ঋণখেলাপি হওয়ার ওই বাসটির নিলামের সিদ্ধান্ত নেয় সংশ্লিষ্ট জাতীয় ব্যাঙ্কটি। 
কিন্তু বাসটি যেহেতু ১৫ জানুয়ারি আটক করেছে ব্যাঙ্ক, তাই আদালত কোনও জরুরি শুনানিতে মত দেয়নি। 
বিচারপতি যখন তাঁর রায় শোনাচ্ছিলেন, তখনই রেগে গিয়ে মেজাজ হারান ওই আইনজীবী। তিনি বিচারপতিকে বাধা দিতে টেবিল চাপড়াতে থাকেন।

বিচারপতি তাঁর রায়ে বলেন, ‘‘অধিকারীকে সঠিক ব্যবহার করতে সতর্ক করা সত্ত্বেও তিনি কোনও ভাবেই সতর্কতায় কান দেননি। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে আমার ভবিষ্যৎ তিনি শেষ করে দেবে এবং তিনি অভিশাপ দিয়েছেন আমি করোনা ভাইরাসের দ্বারা সংক্রমিত হব।''

তিনি আরও বলেন, ‘‘অধিকারীকে জানাতে চাই, আমি আমার ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাওয়া কিংবা ভাইরাসের দ্বারা সংক্রমিত হওয়াকে ভয় পাই না। আদালতের মর্যাদা আমার কাছে সর্বোচ্চ। এবং তা বজায় রাখতে ওঁর বিরুদ্ধে অবমাননার অভিযোগ আনা হচ্ছে।''

তবে বিচারপতির রায় শুনেও অভিযুক্ত আইনজীবী থামেননি। বরং তিনি খুব জোরে জোরে চিৎকার করতে থাকেন। বিচারপতি তাঁকে মনে করিয়ে দেন, তিনি এক মহান পেশার সঙ্গে যুক্ত থেকেও তার সদস্যের মতো আচরণ করছেন না।

.