This Article is From May 08, 2020

মসজিদের তিন তলা কোয়ারান্টাইন সেন্টার করতে কলকাতা পুরসভাকে প্রস্তাব

বাঙালি বাজার মসজিদ কমিটির ইমাম মৌলানা কারি মহম্মদ রাজবি বলেছেন, যেহেতু লকডাউনের কারণে গণজমায়েত নিষিদ্ধ। তাই স্থানীয়রা মসজিদে আসছেন না প্রার্থনা করতে। তাঁদের ঘরেই রমজান পালন করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে

মসজিদের তিন তলা কোয়ারান্টাইন সেন্টার করতে কলকাতা পুরসভাকে প্রস্তাব

ফাইল ছবি

কলকাতা:

মসজিদের একটি তল কোয়ারান্টাইন কেন্দ্র করতে কলকাতা পুরসভাকে (KMC) প্রস্তাব দিল মসজিদ কমিটি। জানা গিয়েছে, গার্ডেনরিচ এলাকার বেঙ্গলি বাজার মসজিদ (A Mosque) থেকে এই প্রস্তাব এসেছে। পুরসভাকে দেওয়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সেই মসজিদের তৃতীয় তলে ৬ হাজার বর্গফুট জায়গা। সেই তল কোয়ারান্টাইন কেন্দ্র (Quarantine centre) হিসেবে ব্যবহার করতে পারে পুরসভা। পবিত্র রমজান মাসে সামাজিক স্বার্থে মসজিদ কমিটির এই সিদ্ধান্ত বলে সূত্রের খবর। এদিকে, পুরসভা সূত্রে খবর, করোনা সংক্রমণের (Covid-19) জেরে শহরে ক্রমশ কমছে কোয়ারান্টাইন কেন্দ্রে বেডের সংখ্যা। ফলে বাঙালি বাজার মসজিদ কমিটির এই সিদ্ধান্তে কিছুটা সুরাহা হবে তাদের। এদিকে, রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর গার্ডেনরিচের একটা অংশকে কন্টেইনমেন্ট জোনের তালিকাভুক্ত করেছে। এই প্রস্তাব প্রসঙ্গে বাঙালি বাজার মসজিদ কমিটির ইমাম মৌলানা কারি মহম্মদ রাজবি বলেছেন, "আমাদের কাছে খবর ছিল নতুন কোয়ারান্টাইন কেন্দ্র খুলতে জায়গা খুঁজছে রাজ্য সরকার। তাই ভাবলাম তৃতীয় তলে কোয়ারান্টাইন কেন্দ্র খুলতে প্রস্তাব দিই। সেই তল পরিষ্কার আর সব ধরনের ব্যবস্থাও আছে।" 

সিবিএসই: দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বাকি থাকা পরীক্ষা হবে জুলাইয়ের ১-১৫ তারিখের মধ্যে

তিনি দাবি করেছেন, যেহেতু লকডাউনের কারণে গণজমায়েত নিষিদ্ধ। তাই স্থানীয়রা মসজিদে আসছেন না প্রার্থনা করতে। তাঁদের ঘরেই রমজান পালন করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মসজিদ কমিটির দাবি, "স্থানীয়দের অনুমতি নিয়েই এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সকলেই এই মহৎ উদ্দেশ্যকে সমর্থন করেছেন।" কলকাতা পুরনিগম সূত্রে খবর, মসজিদ কমিটির এই অবস্থানে তারা কৃতজ্ঞ। 

"মদের হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা করতে পারে রাজ্য", সুপারিশ সুপ্রিম কোর্টের

গোটা দেশের মতো পশ্চিমবঙ্গেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা। সরকারি পরিসংখ্যান মতে গত দুই দিনে রাজ্যে লাগাতার বেড়েছে সংক্রমণ। শুধু বৃহস্পতিবারই নতুন করে আরও ৯২ জন আক্রান্ত হয়েছেন ওই মারণ রোগে। ১১২ জন আক্রান্ত হয়েছেন বুধবার। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড- ১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা। এমনিতেই কলকাতার বহু এলাকা কনটেইনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। ওই রোগের সংক্রমণ আরও বাড়ায় সেই কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যাও বেড়েছে। গত দু'দিনে আরও যে ৭ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে তাঁদের মধ্যে ৫ জনই কলকাতার বাসিন্দা ছিলেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গে যে সময় মানুষ নতুন করে কোভিড- ১৯ এ আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই কলকাতার বাসিন্দা বলে খবর মিলেছে। ফলে তিলোত্তমা এখন আতঙ্কের শহর হয়ে উঠেছে।কলকাতায় বিভিন্ন হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরাও আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়। তাঁদেরও কোয়ারান্টাইনে থাকতে হচ্ছে। 



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)

.