This Article is From Mar 27, 2020

গরমিল রয়েছে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের পর্যবেক্ষণে, রাজ্যগুলিকে জানাল কেন্দ্র

কেন্দ্রের দাবি, শেষ পর্যন্ত যত জন যাত্রী নেমেছেন এবং যতজনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে, সেই সংখ্যায় গরমিল থেকে গিয়েছে।

গরমিল রয়েছে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের পর্যবেক্ষণে, রাজ্যগুলিকে জানাল কেন্দ্র

গত দু’মাসে ভারতে এসেছেন ১৫ লক্ষ আন্তর্জাতিক যাত্রী।

নয়াদিল্লি:

বিদেশ থেকে গত দু'মাসে ভারতে এসেছেন ১৫ লক্ষ আন্তর্জাতিক যাত্রী। কিন্তু তাঁদের পর্যবেক্ষণে গরমিল থেকে গিয়েছে। মন্ত্রী পরিষদের সচিব রাজীব গৌবা এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যগুলিকে। তাঁর মতে, এর ফলে করোনা (Coronavirus) সংক্রমণে প্রভাব পড়তে পারে। সরকারের অন্যতম বরিষ্ঠ আমলা রাজীব বৃহস্পতিবার একটি চিঠি লেখেন রাজ্যগুলিকে। সেখানে তিনি দাবি করেন, বিদেশ থেকে আগত কোভিড-১৯ আক্রান্তদের সঠিক পর্যবেক্ষণ ও মোট অবতরণের সংখ্যার মধ্যে ফাঁক থেকে গিয়েছে।

গত ১৮ জানুয়ারি থেকে আন্তর্জাতিক যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু হয় বিমানবন্দরগুলিতে। চিঠিতে রাজীব জানিয়েছেন, ১৫ লক্ষ আন্তর্জাতিক যাত্রীর বিমানবন্দরে অবতরণের খবর ছিল রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যত জন যাত্রী নেমেছেন এবং যতজনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে, সেই সংখ্যায় গরমিল থেকে গিয়েছে। তাঁর মতে, এর ফলে করোনার সংক্রমণ রোখার যে প্রয়াস তাতে ফাঁক থেকে যেতে পারে। ওই সমস্ত যাত্রীকে ঠিকমতো পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে।

বিদেশ থেকে ফেরা বহু যাত্রীই যে কোয়ারান্টাইনে থাকার নির্দেশকে অমান্য করেছেন তা জানা গিয়েছে। পঞ্জাবে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে একটি মৃত্যু হয়েছে। সেটি ৭০ বছরের এক ব্যক্তির। তিনি এবং তাঁর সঙ্গী দুই ব্যক্তি জার্মানি ও ইতালিতে দু'সপ্তাহের সফর শেষে দেশে ফিরে এসে বহু মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে তা জানাজানি হতে পঞ্জাবের ১৫টি গ্রাম ‘সিল' করে দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, কলকাতাতেও যে কিশোর লন্ডন থেকে ফিরেছিলেন, তিনিও দু'দিন বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছিলেন। তারপর তাঁর শরীরেও করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে।

ভারতে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭০০। মৃত ১৭। এই পরিস্থিতিতে গত মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশে সম্পূর্ণ লকডাউনের ঘোষণা করেন। 

.