দেশের কোভিড-১৯ সংক্রমিতের ২১ শতাংশই মুম্বইয়ের বাসিন্দা। (ফাইল)
হাইলাইটস
- মুম্বইয়ে রোজ বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
- রোগী ভর্তি নিতে বেডের মধ্যে দূরত্ব কমানোর সিদ্ধান্ত
- একজনের প্রশ্ন, ‘‘রোগীরা সংক্রমিত, তাই দূরত্ব রাখার দরকারটা কী’’
নয়াদিল্লি: মুম্বইয়ের (Mumbai) হাসপাতালগুলিতে বেড়েই চলেছে করোনা (Coronavirus) রোগীদের ভর্তির সংখ্যা। সেই চাপে কোভিড-১৯ ওয়ার্ডে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ছে। মুম্বইয়ের তিনটি ৫০০ বেডের হাসপাতাল এরই মধ্যে রোগী ভর্তি নেওয়ার জায়গা নেই। অথচ বেড়েই চলেছে রোগী ভর্তির চাপ। অগত্যা হাসপাতালগুলিকে বাধ্যত রোগীদের বেডের মধ্যে দূরত্ব কমানোর বিষয়ে চিন্তাভাবনা করতে হচ্ছে। এক ভারপ্রাপ্তের প্রশ্ন, ‘‘যেখানে রোগীরা আগে থেকেই সংক্রমিত, তাহলে দূরত্ব রাখার দরকারই বা কী?'' গত ২৪ ঘণ্টায় শহরের হাসপাতালগুলিতে ১,৫০০ নতুন বেডের ব্যবস্থা হয়েছে। কমানো হয়েছে বেডের মধ্যবর্তী দূরত্ব। সেই কারণে রাতারাতি বেড়েছে বেডের সংখ্যা।
নায়ার হাসপাতালে ৩৩৬ থেকে বেডের সংখ্যা বেড়ে হল ৮০০। কেইএম হাসপাতালে সংখ্যাটা ২০০ থেকে হয়েছে ২২০। সেন্ট জর্জে ৪০০ থেকে ৬৯০।
৩০ জুন পর্যন্ত নিয়মিতভাবে ট্রেন চলাচল স্থগিত, জানাল রেলমন্ত্রক
মুম্বইয়ের সরকারি হাসপাতালে অবস্থিত ২৫০টি ভেন্টিলেটরের প্রতিটিই এখন ব্যবহৃত। এতটাই ভয়াবহ হয়ে গিয়েছে সংক্রমণের চেহারা।
বেসরকারি হাসপাতালগুলি সরকারি কর্তৃপক্ষকে আর্জি জানিয়েছে, আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ২০০ ভেন্টিলেটর বেডের ব্যবস্থা করার জন্য।
করোনাকে রুখতে কার্যকরী ভূমিকায় আয়ুর্বেদ? ৪ টি নতুন ওষুধের পরীক্ষা চলছে
দেশের যে কোনও শহরের থেকে বেশি করোনা পজিটিভ রয়েছেন মুম্বইয়ে। এমাসের শেষে সংখ্যাটা ৫০,০০০ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দেশের করোনা সংক্রমণের ২১ শতাংশই মুম্বইয়ের। দেশের বাণিজ্যিক রাজধানীর পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ।
৩.৭১ শতাংশ মৃত্যুহার মুম্বইয়ে। এখনও পর্যন্ত ৫৫৬ জন মারা গিয়েছেন সেখানে। মহারাষ্ট্রে এখনও পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৯২১। অর্থাৎ রাজ্যের ৬০ শতাংশ মৃত্যুর ঘটনাই মুম্বইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে।