করোনা ভাইরাসকে (Coronavirus) রুখতে দেশে জারি লকডাউনের মধ্যেই দেশের অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি মানের শিল্পগুলোকে (MSME) বাঁচানোর জন্যে বড় মাপের আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেন দেশের অর্থমন্ত্রী। কিন্তু নির্মলা সীতারামনের (Nirmala Sitharaman) ঘোষণার সঙ্গে পরস্পরবিরোধী কথা বলতে শোনা যায় আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকড়িকে (Nitin Gadkari)। আর দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই দু'রকম বক্তব্য নিয়েই কটাক্ষ করেন দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম (P Chidambaram)। ক্ষুদ্র, মাঝারি এবং অতি ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য মোট ৩ লক্ষ কোটি টাকার পুনরুজ্জীবন প্যাকেজের ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, ওদিকে গডকড়ি একটি নিউজ চ্যানেল CNBC-TV18 কে বলেন সরকারি সংস্থাগুলির কাছে এমএসএমইরা পরিশোধিত বকেয়া হিসাবে পাঁচ লক্ষ কোটি টাকা পায়। এই দুই মেরুর কথা নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
পথে নামা পরিযায়ী শ্রমিকদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাজ্যগুলোকেই: সুপ্রিম কোর্ট
পি চিদাম্বরম বুধবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের একটি বক্তব্যের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, যেখানে তিনি ৪৫ লক্ষ এমএসএমই শ্রমিকদের বিনা আমানতে তিন লক্ষ কোটি টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেন।
"মন্ত্রী গডকরি বলেছেন যে সরকার ও পিএসইউগুলির এমএসএমইগুলির কাছে বকেয়া হিসাবে ৫ লক্ষ কোটি ঋণ রয়েছে। এদিকে মন্ত্রী সীতারামান বলেছেন যে তিনি এমএসএমইগুলিকে (৪৫ লক্ষ কর্মীকে) তিন লক্ষ কোটি টাকা করে আমানত মুক্ত ঋণ দেবেন। সুতরাং, বুঝতে পারছি না যে এখানে ঋণদানকারী কে এবং কেই বা ধার গ্রহণকারী!", টুইটে লেখেন পি চিদাম্বরম।
"দুই মন্ত্রী কি প্রথমে 'তাদের হিসেব-নিকেশ ঠিক করে সমাধান করবেন' এবং এমএসএমইগুলিকে সরকারের 'সহায়তা' ছাড়া নিজেদেরই বাঁচতে দেবেন?", কটাক্ষ করেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ।
কলকাতায় বাসের ভাড়া তিনগুণ করার প্রস্তাব দিলেন বেসরকারি বাস মালিকরা!
এদিকে এমএসএমই সংগঠনের দাবি, এই সংকটের পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি যে অবস্থায় রয়েছে, তাতে যে আর্থিক প্যাকেজ দেওয়া হয়েছে তা খুবই 'তুচ্ছ'। গ্যারান্টিবিহীন ঋণ ছাড়া নির্মলা সীতারামনের আর্থিক প্যাকেজে ছোট, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য প্রায় কিছুই নেই।