This Article is From May 12, 2020

এক হাতে শিশু, অন্য হাতে ট্রাকের দড়ি! পরিযায়ী শ্রমিকের যন্ত্রণা-ছবি তুলে আনল ভিডিও

এক বৃদ্ধ জানাচ্ছেন, ‘‘কী করতাম আমরা? আমরা অসহায়। আমাদের ঝাড়খণ্ডে যেতে হবে। বাধ্য হয়ে ট্রাকে উঠতে হচ্ছে, কেননা আর কোনও উপায় নেই।’’

এক হাতে শিশু, অন্য হাতে ট্রাকের দড়ি! পরিযায়ী শ্রমিকের যন্ত্রণা-ছবি তুলে আনল ভিডিও

মানুষের অসহায়তার এক তীব্র প্রতিফলন এই দৃশ্যে।

রায়পুর/ নয়াদিল্লি:

দেশব্যাপী লকডাউনের (Lockdown) জেরে পরিযায়ী (Migrant) শ্রমিকদের দুরবস্থার নানা ছবি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বারবার সামনে এসেছে। এবার তেমনই এক ভিডিও সামনে এল। ভিডিওটি ২০ সেকেন্ডের। তাতে দেখা যাচ্ছে ভিড়ে ঠাসা এক ট্রাকে উঠতে চেষ্টা করছেন কয়েক জন শ্রমিক। তার মধ্যে একজন শ্রমিককে দেখা গিয়েছে এক হাতে ট্রাকের দড়ি ধরে অন্য হাতে কোলের ছোট্ট শিশুটিকে ছুড়ে দিতে চাইছে ট্রাকে। শিশুটির মা তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিলেন শিশুটিকে। ছত্তিশগড়ের ওই ভিডিওটি আরও একবার দেশব্যাপী পরিযায়ী শ্রমিকদের অসহায়তাকে আরও প্রকট করে তুলল।

ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে শাড়ি পরে কষ্ট করে ট্রাকে উঠতে চেষ্টা করতে। পাশাপাশি কোলের শিশুকে গাড়িতে তোল‌ার চেষ্টা করতে দেখা গিয়েছে আরও এক ব্যক্তিকে।

NDTV-র সঙ্গে কথা বলার সময় কয়েকজন শ্রমিক জানাচ্ছেন, তাঁরা উপায়ান্তর না দেখে তেলেঙ্গানা থেকে বাড়ি ফিরতে ট্রাককেই বেছে নিয়েছেন। এক বৃদ্ধ জানাচ্ছেন, ‘‘কী করতাম আমরা? আমরা অসহায়। আমাদের ঝাড়খণ্ডে যেতে হবে। বাধ্য হয়ে ট্রাকে উঠতে হচ্ছে, কেননা আর কোনও উপায় নেই।''

কেন্দ্রীয় সরকারের পরিযায়ীদের জন্য চালানো বিশেষ ট্রেনের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমরা সে সম্পর্কে কোনও খবর পাইনি যার দ্বারা ওই ভাবে ফিরতে পারি।''

ট্রাকটির কাছেই দাঁড়িয়ে থাকা রাজ্য পরিবহণের এক আধিকারিক জানালেন, ‘‘পরিবহণের আর কোনও উপায় নেইয়। প্রশাসনের উচিত ওদের জন্য বিশেষ বাস চালানো। আমি পরিবহণ দফতরেই আছি। কিন্তু আমার স্তরের লোকের পক্ষে বাসের ব্যবস্থা করে দেওয়া সম্ভব নয়।''

গত মার্চের শেষ দিকে এসে দেশব্যাপী লকডাউন জারি হয়ে যাওয়ার পর থেকেই পরিযায়ী শ্রমিকরা নিজেদের গ্রামে ফিরতে চেয়েছিলেন। উপায় না পেয়ে অনেকেই দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে পাড়ি দিতে চেষ্টা করেছিলেন। পথেই বহু পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর কথা জানা গিয়েছে।

গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্রে রেললাইনের উপরে ঘুমিয়ে পড়া ২০ জন পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে ১৬ জনের মৃত্যু হয় ট্রেনে কাটা পড়ে।

গত রবিবার আরও এক পরিযায়ী শ্রমিকদের দলের ৫ জনের মৃত্যু হয় ট্রাক দুর্ঘটনায়।

.