Coronavirus Cases, West Bengal: রাজ্যে এখন করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ১৬২
হাইলাইটস
- পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে করোনা আক্রান্ত ২২ জন
- গোটা রাজ্যে বর্তমানে করোনা রোগী রয়েছেন ১৬২ জন
- ইতিমধ্যেই রাজ্যে ১০ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা ভাইরাস
কলকাতা: কেন্দ্রীয় সরকারের করা করোনা হটস্পটের তালিকায় রয়েছে শহর কলকাতার নাম। এরপরেই তিলোত্তমার বুকে কোথায় কোথায় করোনা (Coronavirus) সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি রয়েছে সেই এলাকাগুলো চিহ্নিত করতে তৎপরতা দেখাল রাজ্য সরকার। শুক্রবার কলকাতার প্রায় কয়েক ডজন এলাকাকে রীতিমতো ব্যারিকেড এবং সিল করে দেওয়া হল। এমনিতেই রাজ্যে এখন দ্রুতহারে ছড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণ(Coronavirus Cases West Bengal)। একদিনের মধ্যে রাজ্যে নতুন করে ২২ জনের করোনা সংক্রমণ (COVID-19) ধরা পড়াতেই বিধিনিষেধ জোরদার করায় উঠেপড়ে লাগল সরকার। পশ্চিমবঙ্গে এখন করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ১৬২। ওই মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে এ পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। কলকাতার কাছেই গার্ডেনরিচ এলাকায় একজন পুলিশ কর্মী এবং শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঠাকুরপুকুর হাসপাতালের এক ক্যান্সার রোগীর শরীরে করোনা সংক্রমণের প্রমাণ মেলায় আরও বেশি করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যে। শহরের উত্তর অংশের বেলগাছিয়ার বেশ কয়েকটি জায়গাতেও ব্যারিকেড করা হয়েছে। কলকাতা পুর কর্পোরেশনের বেশ কয়েকটি এলাকাকেও ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়।
করোনা আক্রান্তদের শনাক্ত করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরীক্ষা হোক: কলকাতা হাইকোর্ট
এদিকে মধ্য কলকাতার নারকেলডাঙ্গা থেকে রাজাবাজার মোড় পর্যন্ত এলাকাকে পুরোপুরি সিল করে দেওয়া হয়েছে। বেনিয়াপুকুর, পদ্মপুকুর ও মুদিয়ালি এলাকাতেও কড়া পুলিশ প্রহরা দেখা গেছে। উত্তর কলকাতায় দক্ষিণ দমদম পুরসভার নাগেরবাজার অঞ্চল পুরোপুরি ব্যারিকেড করা হয়েছে। এই অঞ্চলের সমস্ত দোকানই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে, রাজ্য সরকার তাঁদের সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করবে। তাই খুব প্রয়োজন না হলে স্থানীয়দের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না, পাশাপাশি বহিরাগতদেরও ওই এলাকায় প্রবেশের অনুমতি নেই।
বাজারে ভিড় নয়, প্রয়োজনে নামানো হবে সশস্ত্র পুলিশ: মুখ্যমন্ত্রী
পাইকারি মাছের বাজারও আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাতিপুকুর মাছের বাজারও বন্ধ। কেননা দেখা যাচ্ছে বাজার খোলা থাকলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়মকে উপেক্ষা করেই প্রচুর মানুষ ভিড় করছেন।
পার্ক সার্কাস রোড এবং উল্টোডাঙ্গা সহ শহরের বেশ কিছু বড় মোড় এবং ছোটখাটো রোড ক্রসিংয়েও পুলিশ চৌকি বসানো হয়েছে নজর রাখার জন্যে। এদিকে হাওড়া জেলাকে হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই সেখানেও বিভিন্ন অঞ্চলে কড়া পুলিশ টহল চলছে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও হাওড়ার পরিস্থিতিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল বলে বর্ণনা করেছেন। আগামী দু'সপ্তাহের মধ্যে যাতে ওই জেলাটিকে রেড জোন থেকে কমলা জোনের দিকে নিয়ে যাওয়া যায় সেই জন্যে সকলের সহযোগিতা আহ্বান করেছেন তিনি।