This Article is From May 05, 2020

রাজ্যের করোনা-মৃত্যুর তথ্য বিতর্কে কেন্দ্রের ‘সংশোধন’

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক তাদের ওয়েবসাইটে রাজ্য ঘোষিত করোনায় মৃতের সংখ্যাই রেখেছে। তবে ৬১ ও ৭২-কে যোগ করে ১৩৩ হিসেবে দেখিয়েছে তারা।

রাজ্যের করোনা-মৃত্যুর তথ্য বিতর্কে কেন্দ্রের ‘সংশোধন’

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে করোনা সংক্রমণে।

কলকাতা:

করোনায় (Coronavirus) মৃতের সংখ্যা (Corona Death) নিয়ে কেন্দ্রর সঙ্গে রাজ্যের (West Bengal) দীর্ঘকালীন বিতর্কে এক ইতি টানল কেন্দ্র। সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল রাজ্যে ৬১ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। একই সঙ্গে্ কো-মর্বিডিটির শিকার হয়ে মারা গিয়েছেন আরও ৭২ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক তাদের ওয়েবসাইটে এই সংখ্যাই রেখেছে। তবে ৬১ ও ৭২-কে যোগ করে ১৩৩ হিসেবে দেখিয়েছে তারা। গত সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর এই তথ্য জানিয়েছিল। এই প্রথম তাদের তালিকায় কো-মর্বিডিটির পরিসংখ্যানও ছিল। মঙ্গলবার সকালে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে করোনা সংক্রমিত হয়ে। তিনি ৬১-র সঙ্গে ৭ যোগ করে সংখ্যাটি ৬৮ বলে জানান। কেন্দ্রীয় হিসেব ব্যবহার করলে অবশ্য তাঁর বলা উচিত ছিল ১৪০।

১০ কোটি মানুষ রেশন পেয়েছেন, পদক্ষেপ ৪০০ রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে, দাবি স্বরাষ্ট্র সচিবের

কেন্দ্রের তালিকায় রাজ্যে করোনা-মৃত্যুর সংখ্যা ১৩৩ রাখা প্রসঙ্গে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমি কেন্দ্র ও রাজ্যের তথ্য আমার সঙ্গে রাখিনি। তাই এই নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। কিন্তু আমরা সত্যটা নিশ্চিত করতে আমরা আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। মুখ্য সচিব সোমবার জানিয়ে দিয়েছেন, সমস্ত সংখ্যা বিজ্ঞানসম্মত ভাবে রূপান্তরিত করা হয়েছে বাংলায়।''

কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে থাকা বাকি চালকদের শরীরে মেলেনি কোভিড সংক্রমণ: বিএসএফ

আসলে সোমবার রাজ্য সরকারের তালিকায় দু'টি আলাদা সংখ্যা থেকে একটি সংশয় তৈরি হয়েছে। নয়াদিল্লিতে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের শেয়ার করা তথ্য কিন্তু বলছে সংখ্যাটা ১৩৩। সেখানে কোনও বিভাজন দেখানো হয়নি। কিন্তু রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে সংখ্যাটা ৬১। সেই সঙ্গে ছোট অক্ষরে জুড়ে দেওয়া হয়েছে কো-মর্বিডিটির শিকার ৭২ জনের কথা।

সূত্রানুসারে, নির্বাচনী কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের ভূমিকা রয়েছে তথ্যের এই সংশয়ের পিছনে। তবে এর কেন্দ্রে রয়েছে রাজ্যের ‘ডেথ অডিট কমিটি'। সমালোচকদের অভিযোগ, এই কমিটি মৃত্যুর তথ্যকে বিকৃত করেছে। 
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে এই কমিটির কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি জানেনও না কমিটির সদস্য কারা।

রাজ্যের মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা প্রথম বার কো-মর্বিডিটির উল্লেখ করেন গত ২৪ এপ্রিল। সেই সময় তিনি বলেন অডিট কমিটির মতে ৫৭টি মৃত্যুর মধ্যে মাত্র ১৮টির ক্ষেত্রে করোনাই মৃত্যুর কারণ। বাকি ৩৯টি মৃত্যুর ক্ষেত্রে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ অন্য অসুখ।

পরে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি ল‌িখে অডিট কমিটি গঠনের কারণ জানতে চান। পরে মুখ্য সচিবের কথাতেই ইঙ্গিত মেলে কমিটি আর নেই।

কেবল বিরোধী দল বা কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলই নয়, বেশ কিছু চিকিৎসক অডিট কমিটির সারবত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

.