This Article is From Apr 27, 2020

‘‘করোনা-বাহক'': হরিয়ানার মন্ত্রীর বিস্ময়কর আর্জি অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে

২৫ মার্চ থেকে চলছে দেশব্যাপী লকডাউন। পরে তা বাড়িয়ে ৩ মে করা হয়েছে। পরিবহন পরিষেবা বন্ধ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কেউই কোথাও যেতে পারবেন না।

‘‘করোনা-বাহক'': হরিয়ানার মন্ত্রীর বিস্ময়কর আর্জি অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে

হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ আর্জি জানালেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে।

নয়াদিল্লি:

একমাস পেরিয়ে গিয়েছে দেশব্যাপী লকডাউনের (Lockdown)। আন্তঃরাজ্য চলাচলও একেবারে বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে হরিয়ানার (Haryana) স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) আর্জি জানালেন, হরিয়ানা থেকে যাঁরা দিল্লিতে কাজ করতে আসেন, তাঁদের সেখানেই রাখার ব্যবস্থা করুক দিল্লি সরকার। তাঁর অভিযোগ, ওই ব্যক্তিরা করোনা-বাহক হয়ে উঠছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে ৬৭ বছরের মন্ত্রী বলেন, ‘‘এর আগে তাবলিগি জামাতের ধর্মীয় সমাবেশ থেকে রাজ্যে অনেকেই এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১২০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ মিলেছিল। হরিয়ানা সরকার তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু এখন বহু মানুষ যাঁরা দিল্লিতে কাজ করেন কিন্তু হরিয়ানায় থাকেন তাঁরা পাস ব্যবহার করে যাওয়া আসা করছেন। তাঁরা করোনা-বাহকে পরিণত হয়েছেন।''

তিনি আরও বলেন, ‘‘সোনেপাতে প্রায় ন'টি সংক্রমণ ঘটেছে যাঁরা দিল্লি থেকে এখানে এসেছেন। সেখানে দিল্লি পুলিশে কর্মরত এক পুলিশ আধিকারিক করোনা পজিটিভ হয়ে পড়ার পর তাঁর বোনও সংক্রমিত হন। পরে গোটা পরিবারেই ছড়ায় সংক্রমণ।'' তিনি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কাছে আর্জি জানান দিল্লিতে থেকে হরিয়ানার যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের সেখানেই রাখার ব্যবস্থা হোক।

তিনি বলেছেন, ‘‘ওঁদের পাস দিয়ে হরিয়ানার ফেরত পাঠানো অনুচিত। এর ফলে এখানে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সীমান্ত সিল করা। অধিকাংশ মানুষই ঢোকার অনুমতি পাচ্ছেন না। কিন্তু যাঁদের কাছে পাস রয়েছে, তাঁরা ঢুকতেই পারেন।''

গত ২৫ মার্চ থেকে চলছে দেশব্যাপী লকডাউন। পরে তা বাড়িয়ে ৩ মে করা হয়েছে। পরিবহন পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কেউই কোথাও যেতে পারবেন না।

হরিয়ানার তিন শহর গুরগাঁও, ফরিদাবাদ ও সোনেপাত— সীমান্ত দিয়ে যুক্ত দিল্লির সীমান্তের সঙ্গে। এখনও পর্যন্ত দিল্লিতে আক্রান্ত প্রায় ৩,০০০। হরিয়ানায় সেখানে সংক্রমিত ২৮০ জন। মৃত ৩।

সারা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৭,০০০ ছাড়িয়েছে। মৃত ৮০০-রও বেশি।

(তথ্য সহায়তা: এএনআই)

.