শিয়ালদহ ট্রাফিক গার্ডে কর্মরত ছিলেন দিলীপ সর্দার।
কলকাতা: একদিকে যখন ৪০ জন পুলিশকর্মী (Covid-19 among Police) সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন, অন্যদিকে তখন দুই পুলিশকর্মীর মৃত্যুতে শোকের আবহ কলকাতা পুলিশে। মৃতদের (Death due to Corona) মধ্য একজন শিয়ালদহ ট্রাফিক গার্ডে কর্মরত কনেস্টবল দিলীপ সর্দার। পূর্ণমর্যাদায় তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। এমনটাই লালবাজার (Kolkata Police) সূত্রে খবর। শহরের এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ওই কনস্টেবল। দিলীপের পাশাপাশি সাউথ ডিভিশনে কর্মরত সেবাস্তিয়ান জাজার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। কলকাতা পুলিশের টুইটার পেজে পোস্ট করা শোকবার্তায় মৃত দুই পুলিশকর্মীকে করোনা যোদ্ধা বলে পরিচয় দেওয়া হয়েছে। দেখুন সেই টুইট:
জানা গিয়েছে, দুই পরিবারকে অন্তর্বর্তীকালীন এক লক্ষ টাকার অনুদান দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সরকারি বিমা প্রকল্পের আওতায় ১০ লক্ষ টাকা করে পরিবারপিছু তুলে দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহে প্রায় ২০০ জন পুলিশকর্মী সংক্রমিত। যাঁদের মধ্যে একশো জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
এদিকে, গত মাসে তিনটি পৃথক ঘটনার প্রেক্ষিতে কলকাতা পুলিশ লাইনে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন পুলিশকর্মীরা। পিপিই কিটের অপ্রতুলতা এবং অসম্ভব চাপ নিয়ে আমফান ত্রাণকার্যের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ।
উপসর্গহীন সংক্রমণ সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। যদিও আইসিএমআর বলছে, এই সংক্রমণ, সংক্রমিত নয়। তাও সতর্কতা অবলম্বনে নতুন গাইডলাইন প্রকাশ্যে আনল মন্ত্রক। নয়টি উপসর্গ যুক্ত সেই গাইডলাইনে উল্লেখ, হঠাৎ করে ঘ্রাণ ও স্বাদ শক্তি হারিয়ে ফেলা সংক্রমিতদের নতুন উপসর্গ। পাশাপাশি জ্বর, কাশি, দুর্বলতা, প্রশ্বাসের সমস্যা, গলাজ্বালা আর ডায়রিয়া করোনা সংক্রমণের উপসর্গ। সেই গাইডলাইনে বলা সংক্রমণ একমাত্র দুটি মানুষের ঘনিষ্ঠতা থেকে ছড়িয়ে পড়ছে। হাঁচি বা কফের সঙ্গে বেরনো ড্রপলেট এই সংক্রমণ বাড়াচ্ছে। কোনওভাবে সেই ড্রপলেট মাটিতে পড়লে, তার সঙ্গে ভাইরাস বেরোচ্ছে। বায়ুমণ্ডলে সে সক্রিয় থাকছে। একজন সুস্থ মানুষ সেই মাটি স্পর্শ করার পর চোখ, নাক বা মুখে হাত দিলে সংক্রমিত হচ্ছেন তিনি।" নতুন যে গাইডলাইন, তাতে আরও উল্লেখ, যাঁরা ষাটোর্ধ্ব, তাঁরা সংক্রমণের নিরিখে বিপজ্জনক। পাশাপাশি ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ আর হৃদযন্ত্রের সমস্যা আছে, এমন রোগীও সংক্রমণ প্রবণ।