This Article is From Jul 05, 2019

বাজেট ২০১৯: পেট্রোল,ডিজেলের দাম ২ টাকা বাড়তে চলেছে

"আমি পেট্রোল ও ডিজেলের প্রতি লিটারে ১টাকা করে অতিরিক্ত আবগারি শুল্ক ও সড়ক ও পরিকাঠামোগত সেস বৃদ্ধির প্রস্তাব করছি, " বলেন নির্মল সীতারামন

বাজেট ২০১৯: পেট্রোল,ডিজেলের দাম ২ টাকা বাড়তে চলেছে

লিটার প্রতি ২টাকা করে বাড়তে পারে জ্বালানির দাম

নয়া দিল্লি:

অতিরিক্ত আবগারি শুল্ক (excise duty) ও সেস( cess)বৃদ্ধির কারণে এবার পেট্রোল এবং ডিজেলের (Petrol and diesel ) দাম লিটার প্রতি ২ টাকা করে বাড়তে চলেছে। শুক্রবার সংসদে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের সময় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)লিটার প্রতি ১টাকা করে অতিরিক্ত আবগারি শুল্ক ও সড়ক ও পরিকাঠামোগত সেস বৃদ্ধির প্রস্তাব করেন। এর ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের(Modi Govt) ঘরে বেশ ভাল পরিমাণে রাজস্ব আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। পেট্রোল ও ডিজেলের উপর বসানো এই কর, যা খুচরা তেলের দামের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি, তা সরকারের আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস। “অপরিশোধিত তেলের দাম কমেছে। এটা আমার সুযোগ করে দিয়েছে পেট্রোল ও ডিজেলের উপর বসানো একসাইজ ডিউটি ও সেসে পরিবর্তন আনার। আমি পেট্রোল ও ডিজেলের প্রতি লিটারে ১টাকা করে অতিরিক্ত আবগারি শুল্ক ও সড়ক ও পরিকাঠামোগত সেস বৃদ্ধির প্রস্তাব করছি, " বলেন নির্মল সীতারামন।

আয়কর রিটার্নের ক্ষেত্রে আধারকার্ড অথবা প্যানকার্ড দেওয়া যাবে, ঘোষণা বাজেটে

তবে বাজেটে এই ঘোষণা করার পরপরই  তিনি এও দাবি করেন যে, এই বৃদ্ধি জনগণের উপর যাতে প্রভাব না ফেলে তাও নিশ্চিত করবে সরকার। তিনি বলেন, "আমরা ক্ষতিপূরণ দিতে যাচ্ছি। এটি সাধারণ জনগণকে প্রভাবিত করবে না"। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী আরও যোগ করেন যে এই অতিরিক্ত অর্থ  পরিকাঠামো খাতে ব্যবহার করা হবে।

তবে সাধারণভাবে বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমে গেলে শুল্কও কমানো হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমলেও অতিরিক্ত আবগারি শুল্ক(excise duty)  বাড়িয়েই চলেছে সরকার।

Budget 2019: জেনে নিন কার কার দাম বাড়ল, কমল কোনগুলির

গত বছরের অক্টোবরে অপরিশোধিত তেলের ক্রমাগত দাম বৃদ্ধিতে জ্বালানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি রোধে সরকারকে(Modi Govt)  বাধ্য হয়ে আবগারি শুল্ক কমাতে হয়। রাজ্য সরকারগুলিকেও শুল্ক কমানোর আহ্বান জানায় কেন্দ্র। আর তাতে সাড়া দেয় সমস্ত বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি।

রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ে বিধানসভা নির্বাচন ও সম্প্রতি শেষ হওয়া ৭ দফার লোকসভা নির্বাচনের পরেও সেভাবে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি করা হয়নি। তাই মনে করা হচ্ছিল যে নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পরেই জ্বালানির মূল্যবৃ্দ্ধি করে ক্ষতি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে সরকার।

যদিও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস। বিরোধী দলটির নেতা শশী থারুর বলেন, এই বৃদ্ধির(price hike) ফলে "মুদ্রাস্ফীতির উপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে" এবং "সাধারণ মানুষকে বিশাল চাপের মধ্যে রাখবে"।

পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাজেটের সমালোচনা করে শশী থারুর বলেন যে ভবিষ্যতে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে পৌঁছনোর লক্ষ্যে কোনো বিশেষ দিশা দেখাতে ব্যর্থ এই বাজেট।

.