দিল্লি বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় ওই ব্রিটিশ সাংসদকে।
হাইলাইটস
- ব্রিটিশ সাংসদ ডেবি আব্রাহামস ভারতে পৌঁছন সোমবার
- অভিবসন দফতর জানায় তাঁর ভিসা বাতিল হয়েছে
- এই ব্রিটিশ সাংসদ সরকারের কাশ্মীর নিয়ে পদক্ষেপের সমালোচনা করেছিলেন আগে
জম্মু ও কাশ্মীর (J&K) নিয়ে ভারতের নীতির সমালোচনা করায় ব্রিটিশ সাংসদ ডেবি আব্রাহামসকে (Debbie Abrahams) দিল্লি বিমানবন্দরে আটক করার পরের দিন সরকারি তরফে জানানো হল, তাঁর ভারত ভ্রমণের ই-বিজনেস ভিসা বাতিল করা হয়েছে ভারতের জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে ক্রিয়াকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে। আরও বলা হয়, ১৪ ফেব্রুয়ারি ই-বিজনেস ভিসা বাতিল করার আগে ওই মহিলাকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছিল। সোমবার সকাল ৮.৫০ মিনিটে দুবাইয়ে পৌঁছন ডেবি। কিন্তু তাঁকে অভিবাসন কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয় তাঁর ভিসাটি বাতিল হয়েছে। ওই ব্রিটিশ সাংসদ জম্মু ও কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করা নিয়ে সরব হয়েছিলেন।
‘‘কেন রোহিঙ্গা ও আহমদিয়ারা নয়?'': সিএএ প্রসঙ্গে সরকারকে আক্রমণ বৃন্দা কারাতের
ভিসা বাতিলের পর তিনি টুইট করে তাঁর হতাশা ব্যক্ত করেন। তিনি লেখেন, ‘‘খুবই হতাশার যে, এক বন্ধু অন্য কোনও বন্ধুকে সম্মানের সঙ্গে সমালোচনা করতে পারবে না। এটা কি স্বাস্থ্যকর গণতন্ত্রের চিহ্ন?'' তাঁর পোস্টের সঙ্গে তিনি তাঁর ভিসার একটি ছবিও দেন। ছবিটি দেওয়ার উদ্দেশ্য এটা বোঝাতে যে, তাঁর ভিসাটি অক্টোবর পর্যন্ত বৈধ।
This is the e-visa I was issued with by the Indian authorities. pic.twitter.com/QLwJhwFz3d
— Debbie Abrahams (@Debbie_abrahams) February 18, 2020
ওই ব্রিটিশ সাংসদকে গত ২০১৯-এর ৭ অক্টোবর ই-বিজনেস ভিসা দেওয়া হয় যা ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বৈধ ছিল।
জমি, ব্যাঙ্কের কাগজ নাগরিকত্ব প্রমাণে ব্যবহার করা যাবে না: গুয়াহাটি হাইকোর্ট
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘আমি অভিবাসন ডেস্কে সমস্ত নথি সমেত উপস্থিত ছিলাম। তার মধ্যে ই-ভিসাও ছিল। আমার ছবিটি নিয়ে আধিকারিক স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে তাঁর মাথা নাড়তে থাকেন। এরপর তিনি আমায় বলেন, আমার ভিসা বাতিল হয়েছে। তিনি আমার পাসপোর্ট নিয়ে ১০ মিনিটের জন্য অদৃশ্য হয়ে যান। ফিরে আসার পর তিনি অত্যন্ত রুক্ষ ও আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে চেঁচিয়ে আমাকে বলেন, সঙ্গে আসুন।''
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি তাঁকে বলি আমার সঙ্গে এভাবে কথা না বলতে। এরপর আমাকে ডিপোর্টি সেলে নিয়ে গিয়ে তিনি আমাকে বসতে বললে আমি তা প্রত্যাখ্যান করি। আমি জানতাম না তাঁরা কী করতেন কিংবা আমাকে কোথায় নিয়ে যেতেন। তাই আমি চেয়েছিলাম মানুষ আমাকে দেখুক।''
ওই সাংসদের দাবি, ‘‘আমার সঙ্গে একজন অপরাধীর মতো আচরণ করা হয়েছিল সেটা সরিয়ে রেখে আমি আশাবাদী আমাকে আমার পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হবে।''.