This Article is From Sep 27, 2019

"বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও?" স্কুলের ফি দেওয়ার টাকা নেই, ছ’ বছরের মেয়েকে গলা টিপে খুন করল বাবা!

পুলিশ জানিয়েছে, জসবীর সিং তার মেয়েকে তার মা হরজিন্দর কৌরের সামনেই হত্যা করে এবং পরে থানায় আত্মসমর্পণ করে।

অভিযুক্ত জসবীরের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগেই মামলা দায়ের করা হয়েছে

নয়াদিল্লি:

বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও! কিন্তু বেটি না বাঁচলে পড়বে কীভাবে? এই সহজ অথচ কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলা প্রশ্নটিই আবার সামনে এনে দিয়েছে হরিয়ানার কুরুক্ষেত্র জেলার একটি মর্মান্তিক ঘটনা। স্কুলের ফি দিতে না পারায় নিজের ছয় বছরের শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করল বাবা। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্ত বাবা জসবীর সিংকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার অজয় ​​কুমার জানিয়েছেন, অভিযুক্ত বাবা ডাবখেরা গ্রামের বাসিন্দা এবং ফার্মে দিনমজুরির কাজ করেন। গত দুই মাস ধরে বেকার বসেছিলেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, মেয়ের স্কুলের খরচ বহন করতে অক্ষম ছিলেন জসবীর সিং, আর সেই কারণেই মেয়েকেই পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিয়েছেন তিনি। 

বউ কেন বাপের বাড়িতে! রেগে শালীর ছেলেকে কোপাল উন্মত্ত স্বামী!

পুলিশ জানিয়েছে, জসবীর সিং তার মেয়েকে তার মা হরজিন্দর কৌরের সামনেই হত্যা করে এবং পরে থানায় আত্মসমর্পণ করে। শিশুটির মা তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান, সেখানেই তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। হরজিন্দর কৌর সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, প্রতিবার বিদ্যালয়ের টাকার বিষয়টি তুললেই বেজায় রেগে জেতেন তাঁর স্বামী। হরজিন্দর এই ঘটনায় লাডওয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগেই মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এক সপ্তাহ আগেই এমনই আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগর জেলায়। যমজ নবজাতক কন্যাকে এক জলাশয়ে ডুবিয়ে হত্যা করে তাঁদের বাবা-মা। রোববার ওয়াসিম নামের ওই ঠিকা শ্রমিককে এবং তার স্ত্রী নাজমাকে গ্রেপ্তার হয়েছে। দুই জনেই স্বীকার করেছে সংসারের ব্যয় বহন করতে না পারায় তাঁরা সন্তানদের হত্যা করেছে। “আমাদের আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। আমরা আমাদের দুই মেয়ের খরচ বহন করতে পারতাম না,” ওয়াসিম পুলিশকে জানিয়েছেন। সাত বছরের এক ছেলে পুত্র সন্তানও রয়েছে ওয়াসিম ও নাজমার। 

মধ্যযুগীয়! মুখে কালি, জুতোর মালা গলায় যুবতী ও দলিত যুবককে ‘সবক' শেখাল গ্রামবাসী

এক উর্ধ্বতন পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (হত্যা) এবং ২০১ (অপরাধের তথ্য প্রমাণ লোপাট, বা মিথ্যা তথ্য দেওয়া) এর অধীনে মামলা করা হয়েছে। ওই গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দু'টি মেয়ে জন্মানোর কারণে বহুকাল থেকেই ওয়াসিম চটেছিলেন এবং এই নিয়ে প্রায়শই তার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করতেন।

.