This Article is From Jan 07, 2020

কেন বেছে বেছে প্রতিবাদ, আবারও মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ রাজ্যপালের

রাজ্যপাল অভিযোগ করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী এভাবে বেছে বেছে নিন্দা করছেন কেন। তাঁর ইঙ্গিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁকে যে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল সেদিকেই।

কেন বেছে বেছে প্রতিবাদ, আবারও মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ রাজ্যপালের

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘গতকালের হামলা ছিল ছাত্র সম্প্রদায়ের উপরে ফ্যাসিস্ট সার্জিক্যাল স্ট্রাইক।’’

কলকাতা:

রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) আবারও আক্রমণ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। রবিবার জেএনইউতে (JNU) হওয়া হামলার (JNU Attack) নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপাল টুইট করে অভিযোগ করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী এভাবে বেছে বেছে নিন্দা করছেন কেন। তাঁর ইঙ্গিত দু'সপ্তাহ আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁকে যে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল সেদিকেই। তিনি জানান, ‘‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নৈরাজ্য উদ্বেগজনক।'' সেই সঙ্গে তিনি এও বলেন, ‘‘ঘরে লাগা আগুনকেই অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।'' সোমবার সাংবাদিকদের মমতা বলেন, ‘‘আমিও একসময় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে ছিলাম। কিন্তু পড়ুয়া ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপরে এমন হামলা দেখিনি। গতকালের হামলা ছিল ছাত্র সম্প্রদায়ের উপরে ফ্যাসিস্ট সার্জিক্যাল স্ট্রাইক।''

রবিবার সন্ধ্যায় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মুখোশধারী দুষ্কৃতীর দল হাম‌লা চালায় পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের উপর। সেই ঘটনার নিন্দায় মুখর গোটা দেশ। এবিভিপি ও বাম ছাত্র সংগঠনগুলি পরস্পরের দিকে দোষারোপের আঙুল তুলেছে। ঘটনায় পড়ুয়া ও অধ্যাপক মিলিয়ে ৩৪ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার বিজেপিকে আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিজেপির বিরুদ্ধে যে কথা বলতে তাকেই ‘জাতীয়তা-বিরোধী' কিংবা পাকিস্তানি বলা হচ্ছে।''

মঙ্গলবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় মুখ্যমন্ত্রীকে ‘‘আত্ম অনুসন্ধানের'' জন্য বলেন। তিনি জানান, রাজ্য সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঘটা হিংসার ব্যাপারে নীরব। তিনি দাবি করেন, ‘‘ঘরে লাগা আগুনকেই অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।''

আরও একটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নৈরাজ্য উদ্বেগজনক। এবং এটা বরদাস্ত করা হবে না।'' যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে সেব্যাপারে কর্তৃপক্ষের নীরবতাকে কাঠগড়ায় তোলেন তিন‌ি।

গত মাসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দিতে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় রাজ্যপালকে। রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তিনি। তাঁকেই সমাবর্তনে যেতে দেয়নি বিক্ষোভকারীরা। অভিযোগ আঙুল উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদীদের প্রতিবাদের কারণেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করতে পারেননি রাজ্যপাল। রাজ্যপাল অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ‘‘এই প্রবণতা ইঙ্গিত দিচ্ছে বর্তমান সরকার সৃষ্ট বিপুল রাজনীতিকরণ এবং ভয়ের।''

রাজ্যপালের পদে জগদীপ ধনখড় আসার পর থেকেই তাঁর সঙ্গে শাসক দলের বিরোধ চরমে উঠেছে। 

.