This Article is From Apr 12, 2020

করোনা আক্রান্তের আসল সংখ্যা চাপছে রাজ্য, রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ বঙ্গ বিজেপির

প্রতিনিধি দলটি দাবি করেছে, ১০ এপ্রিল, শুক্রবার যেখানে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১৬, সেখানে রাজ্য সরকারের হিসেব জানাচ্ছে ৯৫।

করোনা আক্রান্তের আসল সংখ্যা চাপছে রাজ্য, রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ বঙ্গ বিজেপির

শনিবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করল রাজ্য বিজেপির প্রতিনিধি দল।

হাইলাইটস

  • রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করল রাজ্য বিজেপি
  • ওই প্রতিনিধি দলের অভিযোগ, রাজ্য সরকার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা চাপছে
  • এই ব্যাপারে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করে তারা
কলকাতা:

রাজ্যে করোনা (Coronavirus) আক্রান্তের সংখ্যা সংক্রান্ত তথ্য চাপছে রাজ্য সরকার। শনিবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) কাছে এমনই অভিযোগ জানাল রাজ্য বিজেপি(BJP)। রাজ্যপালের কাছে তাদের দাবি, তৃণমূল সরকার যাতে সঠিক তথ্য সরবরাহ করে সে ব্যাপারে উদ্যোগ নিন তিনি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল রাজভবনে (Raj Bhavan) গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে। তারা রাজ্যপালকে জা‌নিয়েছে, ‘‘রাজ্য সরকার যে তথ্য দিচ্ছে তার উপরে রাজ্যের মানুষের ভরসা নেই।'' ওই প্রতিনিধি দলে দিলীপ ঘোষ ছাড়াও মুকুল রায়, রাহুল সিনহার মতো সিনিয়র নেতারাও ছিলেন। ওই প্রতিনিধি দলের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্যের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। 
প্রতিনিধি দলটি দাবি করেছে, ১০ এপ্রিল, শুক্রবার যেখানে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১৬, সেখানে রাজ্য সরকারের হিসেব জানাচ্ছে ৯৫। রাজ ভবনের এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে।

"লকডাউনের মেয়াদ বাড়লে, রাজ্য মেনে চলবে", নবান্নে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

বিজেপির অভিযোগ, নমুনা পরীক্ষার গতি রাজ্যে খুবই কম। তারা রাজ্যপালকে জানায়, ৫,০০০ টেস্টিং কিট সরবরাহ করা হলেও সেগুলির কোনও ব্যবহারই হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ তারা দাবি করে, মা‌লদায় ১,০০০ টেস্টিং কিট পাঠানো হলেও এখনও পর্যন্ত সেগুলির একটিও ব্যবহার করা হয়নি। প্রতিনিধি দলের দাবি, অন্যত্র পরিস্থিতি একই রকম খারাপ।

"জীবন ও জীবিকা দুটোই বাঁচতে হবে", মুখ্যমন্ত্রীদের ইঙ্গিত দিলেন প্রধানমন্ত্রী

যেভাবে রাজ্যের একের পর এক হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের কোয়ারান্টাইনে পাঠাতে হচ্ছে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ওই প্রতিনিধি দল। পিপিই-র খারাপ মানের কারণেই এমনটা হচ্ছে বলে তারা দাবি করে।
পাশাপাশি, তাদের আরও দাবি, দিল্লির তাবলিগি জামাতের সমাবেশে যাঁরা রাজ্য থেকে যোগদান করেছিলেন তাঁদের সকলকে চিহ্নিত করে কোয়ারান্টাইন করা হয়নি। এর ফলে তাঁদের থেকে সংক্রমণ আরও ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে রাজ্য বিজেপি।

বিজেপির ওই প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের কাছে আরও অভিযোগ জানিয়েছে যে, রাজ্যে ধর্মীয় অনুষ্ঠান হচ্ছে এবং সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। রাজ্যের লকডাউনের পরিস্থিতি যে ক্রমশই দুর্বল হয়ে পড়ছে, সেই মর্মে রাজ্যের মুখ্য সচিব ও ডিজিপিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আরও জানিয়েছে রাজ্যে অত্যাবশ্যক নয়, তেমন সামগ্রীর দোকানও খোলা থাকছে। পাশাপাশি পুলিশ ধর্মীয় সমাবেশেরও অনুমতি দিচ্ছে। সবজি, মাছ, মাংসের বাজারেও প্রশাসনের কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকছে না এবং সেখানে লকডাউনের নিয়ম মানা হচ্ছে না বলে মন্ত্রকের তরফে অভিযোগ করা হয়।

.