This Article is From Sep 10, 2019

রাষ্ট্রসঙ্ঘে জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের বক্তব্যের জবাব দেবে ভারত

সুইৎজারল্যান্ডের জেনেভায় রাষ্ট্রসঙ্ঘের (UN) মানবাধিকার কাউন্সিলের সভায় আবারও পাকিস্তান ভারতের বিরোধিতা করল জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুতে।

রাষ্ট্রসঙ্ঘে জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের বক্তব্যের জবাব দেবে ভারত

ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন অজয় বিসারিয়া ও বিজয় ঠাকুর সিংহ।

জেনেভা:

জম্মু ও কাশ্মীরের (J&K) ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস' তুলে নিয়ে রাজ্যকে দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। প্রথম থেকেই এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে পাকিস্তান (Pakistan)। সুইৎজারল্যান্ডের জেনেভায় রাষ্ট্রসঙ্ঘের (UN) মানবাধিকার কাউন্সিলের সভায় আবারও এর বিরোধিতা করল তারা। পাকিস্তানের মন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির মতে কাশ্মীরে রাজনৈতিক নেতাদের বন্দি করা ও রাজ্য জুড়ে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। ভারত বিকেলে তাদের বক্তব্য জানাবে। পরে উভয় পক্ষই সুযোগ পাবে পারস্পরিক আলোচনার। ভারত বরাবরই বলে এসেছে এটি একান্তই অভ্যন্তরীণ বিষয়। আন্তর্জাতিক মহলে জানিয়ে এসেছে জম্মু ও কাশ্মীরের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস' তুলে নেওয়াটা একান্তই এদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। অধিকাংশ দেশই ভারতের দাবি মেনে নিয়েছে।

ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন অজয় বিসারিয়া ও বিজয় ঠাকুর সিংহ। প্রসঙ্গত অজয় বিসারিয়া পাকিস্তানে নিযুক্ত হাই কমিশনার হিসেবে ছিলেন। ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ব্যাপারে পাঁচটি পদক্ষেপ করে পাকিস্তান। তার মধ্যে একটি ছিল অজয়কে দেশে ফেরত পাঠানো।

রাষ্ট্রসঙ্ঘে কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের মতকে খণ্ডন করতে পারে ভারত

সোমবার পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি, যিনি পাক প্রতিনিধি দল‌ের নেতৃত্বে রয়েছেন, তিনি টুইট করে জানান পাকিস্তান অবশ্যই কাশ্মীর নিয়ে এই সেশনে কথা বলবে।

নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের এই বিষয়ে সম্মুখ সমর শুরু হয় ভারত সংবিধানের ৩৭০ ধারা তুলে নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার পর থেকেই।

২ সপ্তাহ আগের তুলনায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এখন ‘উত্তেজনা কম': ট্রাম্প

রাষ্ট্রসঙ্ঘকে পাকিস্তান লিখে জানায়, জম্মু ও কাশ্মীরে প্রভূত পরিমাণে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করা হচ্ছে। চলছে ব্যাপক হিংসা। কিন্তু সেই আবেদনের পরেও বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি পাকিস্তান। রাষ্ট্রসঙ্ঘে এই নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। কিন্তু চিন ছাড়া বাকি সব দেশই একমত হয় যে, জম্মু ও কাশ্মীরে ভারত যে পদক্ষেপ করেছে তা একান্তই তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

কাশ্মীর ইস্যু ‘‘ইতিহাসের বিচ্যুতি'' বা ‘‘রাষ্ট্রসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে শান্তিপূর্ণ আলোচনায়'' এর সমাধান করার প্রস্তাব দিয়েছে পাকিস্তান ও চিন। কিন্তু ভারত এই ধরনের মন্তব্যকে উড়িয়ে দিয়েছে।

.