This Article is From Jan 08, 2020

দীপিকা পাড়ুকোনকে আক্রমণ বিজেপি নেতা, মন্ত্রীদের

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেএনইউ পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াতে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি

দীপিকা পাড়ুকোনকে আক্রমণ বিজেপি নেতা, মন্ত্রীদের

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেএনইউতে যান অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন

নয়াদিল্লি:

মঙ্গবার রাতে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jawaharlal Nehru University) গিয়েছিলেন অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন (Deepika Padukone), তাঁদের পাশে থাকার বার্তা গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ সেখানে কাটিয়েও ছিলেন পদ্মাবত অভিনেত্রী। তাঁর সেই পদক্ষেপের সমাোচনা করে তোপ দেগেছেন বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র সহ বিজেপি নেতা, মন্ত্রীরা। এটিকে “টুকরো, টুকরো গ্যাং” কে সমর্থন করা বলে মন্তব্য করেছেন তাঁরা, পাশাপাশি দীপিকা পাড়ুকোনের সিনেমা বয়কটেরও ডাক দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি স্পষ্ট করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকড় বলেন, যে কেউ, যে কোনও জায়গায় যেতে পারেন, এবং কোনও বিষয়ে মতামত দিতেই পারেন।তিনি বলেন, “এটা নিয়ে কোনও আপত্তি নেই”।

এই মুহুর্তে বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেএনইউ পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াতে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি, যদিও সংবাদমাধ্যমে কথা বলতে চাননি অভিনেত্রী, তিনি বলেন, সহানুভুতি দেখাতেই তাঁর আসা বলে জানান বলিউড অভিনেত্রী। ঐশি ঘোষ সহ আক্রান্ত পড়ুয়াদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়ানোর প্রশংসা ছড়িয়ে পড়ে।

তবে কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় সমালোচনা, বিজেপি নেতা তেজিন্দর বাগ্গা ট্যুইট করে, “আপজল গ্যাং এবং টুকরে টুকরে গ্যাংকে সমর্থন করায় দীপিকা পাড়ুকোনের সিনেমা বয়কট করাই সঠিক হবে”।

তাঁর আসন্ন সিনেমা ছাপাক বয়কট করারও ডাক দেওয়া হয়েছে। ওই সিনেমায় একটি অ্যাসিড আক্রান্ত মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করছেন দীপিকা পাড়ুকোন।

সম্বিত পাত্র ট্যুইট করেন:

প্রতিক্রিয়া দেন অন্যান্য নেতারাও।

শাহনেওয়াজ হোসেন বলেন, তাঁর উচিত ছিল “'হিংসার প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে জানা' এবং বামপন্থী সংগঠনের প্রতি তাঁর দেখানো সহানুভূতি ‘পক্ষপাতমূলক'”।

দীপিকা পাড়ুকোনের জেএনইউতে সফরের সমালোচনা করে বিজেপি নেতা রাম কদম বলেন, এটা “দুর্ভাগ্যজনক” এবং ওই জায়গায় তাঁর “জাতীয় স্বার্থের কথা চিন্তা করে” যাওযা উচিত ছিল। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “একজন অভিনেত্রীর অভিনেত্রী হওয়া উচিত। দেখে মনে হচ্ছে তিনি রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র”।

দীপিকা পাড়ুকোনের আসন্ন ছবি “ছাপাক” বয়কটের ডাক দিয়ে দিল্লির বিজেপি নেতা রমেশ বিধুরি বলেন, যারা দেশের বিরুদ্ধে তাদের সঙ্গে না গিয়ে একজন বলিউড অভিনেতার উচিত সিনেমার মাধ্যমে দেশের যুব সম্প্রদায়কে “ইতিবাচক বার্তা” দেওয়া।  

ট্যুইটারে পাল্টা উড়ে এসেছে প্রশ্ন, পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মত অনুযায়ী বিষয়টিকে পড়ুয়াদের মধ্যে সংঘর্ষ বলে সরকার কেন মনে করছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। বামপন্থী ছাত্র সংসদের সমর্থকদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। বামপন্থী পড়ুয়াদের দাবি, সেদিন সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে হামলা চালায় অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ এবং বহিরাগতরা, তাতে জখম হন ১৯ জন পড়ুয়া।

.