This Article is From Sep 17, 2019

অমিত শাহের রিপোর্ট কার্ডে "ফেল" করল বহু-দলীয় গণতন্ত্র

স্বাধীনতার ৭০ বছর পর বহুদলীয় গণতন্ত্র ভারতের লক্ষ্য পূরণে সক্ষম কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন Amit Shah। তৃতীয় ফ্রন্ট তৈরিতে সাফল্য পাননি বিরোধীরা।

বিজেপি গত পাঁচ বছরে ৫০ টি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বলেন অমিত শাহ

নয়া দিল্লি:

লোকসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে কেন্দ্রে ফের ক্ষমতায় আসে মোদি সরকার । এবার সেই সরকারের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি (BJP) সভাপতি অমিত শাহের এক মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত। অমিত শাহ বলেন, স্বাধীনতার ৭০ বছর পরেও বহুদলীয় গণতন্ত্র (Multi-party democracy) "ব্যর্থ হয়েছে"। তিনি (Amit Shah) বলেন, সংবিধানের নির্মাতারা একটি "সমান ও  সমৃদ্ধ ভারত" এর কল্পনা করেছিলেন। তাঁরা বিশ্বের বিভিন্ন গণতন্ত্রের পাঠ নেওয়ার পরে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকেই এদেশের জন্যে সঠিক বলে মনে করেছিলেন যাতে সমস্ত বিভাগের প্রতিনিধিত্ব থাকতে পারে দেশের শাসনব্যবস্থায়। কিন্তু দেখা গেছে এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থা বারবারই ব্যর্থ হয়েছে বলেই মনে করেন অমিত শাহ।

‘‘আমাদের সেনাদের এক বিন্দু রক্তও ব্যর্থ হতে দেব না'': অমিত শাহ

তবে "স্বাধীনতার ৭০ বছর পরেও যদি বহুদলীয় সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ব্যর্থ হয় তাহলে দেশেন মানুষের মনে সন্দেহ তৈরি হয়। এটি কি আদৌ আমাদের লক্ষ্যগুলি অর্জন করতে সক্ষম হবে? তাঁরা হতাশ হয়েছিলেন", অমিত শাহকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএনআই।

বিজেপি গত লোকসভা নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় পায়, এবং গত তিন দশকে প্রথম সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনকারী একক দল হয়ে ওঠে। গত এক দশক ধরে, রাজনৈতিক দলগুলি ইউপিএ এবং এনডিএ, এই দুটি দলে বিস্তৃতভাবে বিভক্ত ছিল।

এছাড়া দেশে তৃতীয় ফ্রন্ট তৈরি করার জন্য পর্যায়ক্রমিক চেষ্টা করা হলেও,  তা কখনোই স্থায়ী হয়নি। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ সালের মধ্যে দুটি জোট সরকার ক্ষমতায় এসেছে- ভিপি সিংয়ের নেতৃত্বে ন্যাশনাল ফ্রন্ট সরকার এবং অপরটি চন্দ্রশেখরের নেতৃত্বে, যিনি বাইরে থেকে কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে জনতা দলের এক সংখ্যালঘু সরকারকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

অমিত শাহের হিন্দি দিবসে টুইটে অস্বস্তিতে রাজ্য বিজেপি

১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত যুক্তফ্রন্টের সরকার প্রায় তিন বছর স্থায়ী ছিল এবং নেতৃত্বে ছিলেন এইচডি দেবেগৌড়া এবং আই কে গুজরাল।

এই বছর, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের নেতৃত্বে একটি বিজেপি, অ-কংগ্রেস ফ্রন্ট গঠনের প্রচেষ্টা করা হয়। এ নিয়ে চন্দ্রশেখর রাও বিভিন্ন নেতার সঙ্গে একাধিক বৈঠকও করেন, কিন্তু বেশিরভাগেরই এই ধারণাটির প্রতি শীতল দৃষ্টিভঙ্গী ছিল।

কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন একের পর এক সরকারগুলির সমালোচনা করে অমিত শাহ বলেন যে কংগ্রেস আমলে নীতি পক্ষাঘাতদুষ্ট ছিল এবং সরকারের কোনও দিকনির্দেশনাও ছিল না। "সেই সময় প্রতিদিন দুর্নীতির খবর পাওয়া যেত, সীমান্তগুলি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতো, সেখানে দেশের সেনাদের শিরশ্ছেদ করা হয়, এদিকে দেশের মহিলারা অসুরক্ষিত বোধ করতেন এবং মানুষ প্রতিদিন রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করত... সরকার রাজনৈতিকভাবে পঙ্গু হয়ে পড়েছিল সেই আমলে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি সেই সময়", কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেন অমিত শাহ।

"কিছু সরকার ৩০ বছর ধরে কাজ করে এবং একটি বড় সিদ্ধান্ত নেয়, আর আমাদের সরকার পাঁচ বছর কাজ করেছিল এবং জিএসটি, নোট বাতিল, এয়ার স্ট্রাইক ইত্যাদি সহ ৫০ টি বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল",  বলেন বিজেপি সভাপতি তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

.