This Article is From Mar 05, 2020

কলকাতায় অমিত শাহের সভায় উঠল “গুলি করো” স্লোগান

গত সপ্তাহে দিল্লিতে ছড়িয়ে পড়া হিংসার পিছনে বিজেপি নেতা এবং মন্ত্রীদের বিদ্বেষমূলক মন্তব্যকে দায়ী করেছেন অনেকে

অমিত শাহের সভার পর প্ররোচনামূলক স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে বিজেপি সমর্থকদের

কলকাতা:

দিল্লিতে হিংসা (Delhi Violence) ছড়িয়ে পড়ার পিছনে বিদ্বেষমূলক মন্তব্যকে দায়ী করেছেন অনেকেই, সেখানে এখনও চাপা আতঙ্ক রয়েছে, তারমধ্যেই রবিবার বিকেলে কলকাতায় উঠল গুলি করো (Goli Maaro) স্লোগান। এদিনের সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), এদিনের সভামঞ্চে নাগরিককত্ব আইনের পক্ষে সওয়াল করেন তিনি এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আইনটিকে ঠেকাতে “হিংসা ছড়ানো” এবং “ট্রেনে অগ্নিসংযোগে” মদত দেওয়ার অভিযোগ তোলেন। ঘটনাস্থলের ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, গেরুয়া পোশাক এবং বিজেপির পতাকা হাতে নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন, “দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকদের গুলি করো”।   

এদিনের সভা থেকে তিনবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন অমিত শাহ, এদিনের সভা নিয়ে কটাক্ষ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

গত সপ্তাহে দিল্লিতে ছড়িয়ে পড়া হিংসার পিছনে বিজেপি নেতা এবং মন্ত্রীদের বিদ্বেষমূলক মন্তব্যকে দায়ী করেছেন অনেকে।

চারদিনেরও বেশিদিন ধরে, হাতে লোহার রড., পাথর, হকি স্টিক নিয়ে রাস্তায় আস্ফালন করতে দেখা গিয়েছে দুষ্কৃতীদের, মারধর, অগ্নিসংযোগ ও লুঠপাট চালিয়েছে তারা। পরিণতিতে ৪৩ জন মানুষের মৃত্যু হয় এবং ২৫০ জন আহত হন।

দিল্লিতে নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে ও বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। তিন মুসলিম অধ্যুষিত দেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে ভারতে চলে আসা অমুসলিম নাগরিকদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এই আইনে।

কলকাতায়, বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে, শাহিনবাগের থেকে উৎসাহিত হয়ে ধরনা, বিক্ষোভ হয়েছে। এই আইনের অন্যতম সমালোচক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কলকাতা এবং বাইরে একাধিক সভা করেছেন এই আইনের বিরোধিতায়।

রাজ্যে  জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জীও স্থগিত করেছেন তিনি, বিরোধীদের দাবি, সেটিকে জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর কাজে ব্যবহার করা হবে। তাদের আশঙ্কা, এনআরসি, নাগরিকত্ব আইনকে ব্যবহার করে মুসলিমদের টার্গেট করা হবে।

নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের “বিশ্বাসঘাতক” এবং “জঙ্গি” বলে মন্তব্য করা হয়েছে এবং তাঁদের গুলি করারও নিদান দেওয়া হয়েছে, গতমাসে দিল্লি নির্বাচনের আবহে এই নিদান দিয়েছিলেন বিজেপি নেতারা।

.