নিজের নাগরিকত্ব বিষয়ে বারবারই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমারকে। অক্ষয় কুমার জানিয়েছেন যে, তিনি কখনও ভাবেননি তিনি যে ভারতীয় তা প্রমাণ করার জন্য কাগজপত্র প্রয়োজন পড়বে। অক্ষয় কুমার জানিয়েছেন যে তার নাগরিকত্ব নিয়ে এত সমালোচনা হয়েছে যে তারপর তিনি কানাডার পাসপোর্ট ছেড়ে দিয়ে এখন ভারতীয় পাসপোর্ট নিতে চলেছেন। ৫২ বছরের অভিনেতা এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন এবং লোকসভা নির্বাচনের সময় মুম্বাইতে তিনি ভোট দেননি।
''টাইগার যা করে, তা...'' বন্ধু হিসাবে পরিচয় দেওয়া টাইগার সম্পর্কে কী বললেন দিশা?
অক্ষয় কুমার এরপর থেকেই নাগরিকত্ব নিয়ে সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিলেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন যে তার কাছে যে কানাডার পাসপোর্ট রয়েছে, এই ব্যাপারটি তিনি কখনোই অস্বীকার করেন না। অক্ষয় কুমারের কানাডার পাসপোর্ট নেওয়ার পিছনে যে কারণ রয়েছে সেই বিষয়টিও জানিয়েছিলেন অভিনেতা। তিনি জানিয়েছিলেন, "একটা সময় ছিল যখন আমার ১৪ টা ছবি ফ্লপ হয়েছিল তখন আমি ভেবেছিলাম যে আমাকে অন্য কিছু কাজ করতে হবে। আমার খুব ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু কানাডায় থাকে তখন ও আমাকে কানাডায় আসার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিল। বন্ধু বলেছিল যে আমরা দুজনে মিলে কোনও কাজ করব। আমার বন্ধু ভারতীয় কিন্তু ওখানেই থাকে।"
শর্ট ফ্রকে নীনা! Shock খাবেন আপনিও
অভিনেতা আরও জানিয়েছেন , "তারপর আমি পদ্ধতি শুরু করে দিই এবং তারপরেই আমার পাসপোর্ট এবং যা যা জিনিস প্রয়োজন তা আমি পেয়ে যাই। তখন আমার মনে হয়েছিল যে আমার ক্যারিয়ার এখানেই শেষ হয়ে যাবে এবং আমি আর এখানে কোন কাজ পাবো না। তারপর আমার ১৫ তম ছবি সাফল্য পায়। এরপর থেকে আর কখনোই পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি আমাকে। আমি এগোতে থাকি। নিজের পাসপোর্ট বদলাবার ব্যাপার কোনদিন মাথাতেই আসেনি আমার।"
অক্ষয় জানিয়েছেন , "এত সমালোচনার পর ভারতীয় পাসপোর্টের আবেদন করার জন্য আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি।" "আমি পাসপোর্টের আবেদন করেছি। এই বিষয়টি আমাকে খুবই দুঃখ দিয়েছিল যখন দেখি আমি ভারতীয় কিনা, সেই প্রমাণ আমাকে আমার পাসপোর্ট দিয়ে দিতে হবে। সত্যিই খুব দুঃখজনক ছিল বিষয়টা আর এইজন্য আমি কাউকে আর কোনও সুযোগ দিতে চাইনা। আমি ভারতীয় পাসপোর্টের জন্য ইতিমধ্যেই আবেদন করেছি," বলেন অক্ষয়। যদিও অক্ষয় জানিয়েছেন যে তার স্ত্রী এবং তার বাচ্চারা, তার পরিবার সবাই ভারতীয় এবং তিনি তাদের সঙ্গেই থাকেন আর এই দেশেই করও দেন তিনি।