This Article is From May 06, 2019

“নিজে কতটুকু তামাক খান” তামাকের বিজ্ঞাপন নিয়ে অজয় দেবগনকে প্রশ্ন ক্যান্সার রোগীর

সচেতনতা বাড়াতে তাই সাঙ্গানের, জগতপুরের মতো এই শহরের আরও নানা জায়গায় প্রায় ১০০০ টি পুস্তিকা ছাপিয়ে বাড়ি বাড়ি বিলোচ্ছেন নানাক্রম।

“নিজে কতটুকু তামাক খান” তামাকের বিজ্ঞাপন নিয়ে অজয় দেবগনকে প্রশ্ন ক্যান্সার রোগীর

সচেতনতা বাড়াতে তাই সাঙ্গানের, জগতপুরের মতো এই শহরের আরও নানা জায়গায় প্রায় ১০০০ টি পুস্তিকা ছাপিয়ে বাড়ি বাড়ি বিলোচ্ছেন নানাক্রম

জয়পুর:

অভিনেতারা আমাদের আইকন, কিন্তু অভিনেতা যদি বিষ খেতে বলেন, অন্ধ ভক্তেরা কি তাই করবেন? রাজস্থানের ৪০ বছর বয়সী ক্যান্সার রোগী নানাক্রম (Nanakram) কিন্তু তাই করেছিলেন দিনের পর দিন। বলিউড অভিনেতা অজয় দেবগনের (Ajay Devgn) কাছে তাই জনস্বার্থে ও সমাজের স্বার্থে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়েছেন এই ক্যান্সার রোগী। রোগীর পরিবার জানিয়েছে যে, নানাক্রম অজয় ​​দেবগনের একজন অনুরাগী ছিলেন এবং অভিনেতা যে তামাক পণ্য ব্যবহারের বিজ্ঞাপন করেছিলেন তাই ব্যবহার করছিলেন নানাক্রম। ক্যান্সার ধরা পড়েছে তাঁর। এখন তিনি বুঝতে পেরেছেন যে, নায়কের প্রচার করা তামাক তাঁর জীবন কীভাবে শেষ করে ফেলেছে। 

দাড়ি কাটা মেয়েদের কাজ নয়! দেশের দুই সেলুন কন্যার হাতে দাড়ি কেটে গর্বিত খোদ শচিন

সচেতনতা বাড়াতে তাই সাঙ্গানের, জগতপুরের মতো এই শহরের আরও নানা জায়গায় প্রায় ১০০০ টি পুস্তিকা ছাপিয়ে বাড়ি বাড়ি বিলোচ্ছেন নানাক্রম। এই পুস্তিকায় নানাক্রম অভিনেতা অজয় দেবগনকে জিজ্ঞেস করছেন যে, তিনি বা তার পরিবার দিনে কতবার এই তামাক চিবোন?

নানাক্রমের পুত্র দিনেশ মিনা পিটিআইকে বলেন, “আমার বাবা নানাক্রম মিনা কয়েক বছর আগেই তামাক চিবানো শুরু করেছিলেন এবং যার জন্য অজয় দেবগন বিজ্ঞাপন করেন, সেই একই ব্র্যান্ডের তামাক খেতেন বাবা। আমার বাবা অজয় দেবগনের ভক্ত ছিল, কিন্তু যখন ক্যান্সার ধরা পড়ল তিনি বুঝলেন যে, এই ধরনের বড় বড় তারকার কখনই এমন ক্ষতিকারক পণ্যের বিজ্ঞাপন করা উচিৎ নয়।” 

Google Doodle Phase 5 Election 2019:কীভাবে দেবেন ভোট জানাচ্ছে গুগল ডুডল!

ওই পুস্তিকায়, নানাক্রম বলেন যে মদ, সিগারেট এবং তামাকের মতো বিষয়গুলির বিজ্ঞাপন করা ক্ষতিকারক। এবং এই কারণেই অভিনেতাদের এইসব জিনিসগুলির প্রচার করা উচিত নয়।

দুই সন্তানের বাবা, নানাক্রম আগে একটি চায়ের দোকান চালাতেন। এখন কথা বলতে একেবারেই পারেন না তিনি। জয়পুরের সাঙ্গানের শহরে বাড়ি বাড়ি দুধ বিক্রি করেই পরিবারের পেট চালান তিনি।

.