This Article is From Jun 07, 2019

মর্মান্তিক! জেলবন্দির দেহ ফিরল কণ্ঠ, মস্তিষ্ক, হৃদয় ছাড়াই

মাকে দেখতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। দু-দিন পরেই মিলল তাঁর দেহ। কিন্তু কণ্ঠনালী, হৃদয়, মস্তিষ্কর মতো একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ছাড়াই।

মর্মান্তিক! জেলবন্দির দেহ ফিরল কণ্ঠ, মস্তিষ্ক, হৃদয় ছাড়াই

বাড়ির লোক ভালো করে জানেই না তার মৃত্যুর কারণ

মাকে দেখতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। দু-দিন পরে মিলল তাঁর দেহ। কিন্তু কণ্ঠনালী, (Throat) হৃদয় (Heart), মস্তিষ্কর (Brain) মতো একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ছাড়াই। এমন মর্মান্তিক ঘটনার শিকার ডেলওয়্যারের এভারেট পামার (Everett Palmer)। ওয়াশিংটন পোস্টের এই খবরে, তোলপাড় গোটা বিশ্ব। ২০১৬-য় নিষিদ্ধ মাদক পাচারের অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তারপরেও গত ৭ এপ্রিল এভারেট পামার তাঁর ডেলওয়্যারের বাড়ি থেকে রওনা হয়েছিলেন পেনসলভানিয়ার ল্যাঙ্কাস্টারের উদ্দেশ্যে।এর দু-দিন পরেই ফোনে এভারেটের পরিবারকে জানানো হয়, ইয়র্ক কাউন্টির জেলে মৃত্যু হয়েছে তাঁর (Dies In Prison)। 

ছিল বিফ হল বিপ, চাপের মুখে নাম বদলাল শহরের গো-মাংস উৎসবের

ইয়র্ক কাউন্টি করোনারের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, ৪১ বছরের পামার বন্দি অবস্থায় সারাক্ষণ উত্তেজিত থাকতেন। এরপরেই আচমকা তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও কেন তাঁকে বন্দি করা হয়েছিল সেবিষয়ে ভালো করে কিছুই জানেন না তাঁর বাড়ির লোক।

পামারের দেহ যখন তার প্রিয়জনদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তখন তাঁর কণ্ঠনালী, হৃদয় ও মস্তিষ্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে আইনজীবী লি ম্যারিট জানিয়েছেন, এখনও খোঁজ মেলেনি সেই নিখোঁজ প্রত্যঙ্গের।

ম্যারিটের মতে, ময়নাতদন্তের সময় অনেক ক্ষেত্রেই দেহের প্রত্যঙ্গ সরান হয়। কিন্তু সেগুলো কোথায় রয়েছে, কেনই বা পামার জেলবন্দি হলেন---আজও তা রহস্যই রয়ে গেছে। 

নিখোঁজ এএন-৩২-র চালকের স্ত্রীই ছিলেন বিমানটির এয়ার ট্রাফিক কনট্রোলার

একবছর পরেও আজও কিনারা হয়নি এই রহস্যমৃত্যুর। ইতিমধ্যেই পামারের মৃত্যুর রহস্য ক্রিনিনাল কেস করা হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে।

প্রশাসনের মুখপাত্র ব্রেন্ট মিলার জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে পেনসিলভানিয়া স্টেট পুলিশ ইয়র্ক কাউন্টি জেলা অ্যাটর্নির সঙ্গে যৌথভাবে তদন্ত চালাচ্ছে। তবে এখনই সেবিষয়ে মুখ খুলতে তাঁরা রাজি নন।

এবিষয়ে ভাই ডোয়েন পামার বলেন, দাদা নিউইয়র্কে মাকে দেখতে যাওয়ার আগে ল্যাঙ্কস্টার কাউন্টি থেকে মাদক পাচার সংক্রান্ত অভিযোগ সম্পর্কে বিশদে জানতে গিয়েছিলেন পেনসলভেনিয়ায়।

পুলিশ তার লাইসেন্সে স্থগিতাদেশ দেখে তাকে ইয়র্ক কাউন্টি জেলে বন্দি করে, দাবি ডোয়েন পামারের।

এদিকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, পামারকে ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল ইয়র্ক কাউন্টি জেলের (County Prison) একটি সেলে রাখা হয়েছিল। সেই সময় সারাক্ষণই তিনি উত্তেজিত অবস্থায় থাকতেন।গরাদে মাথা ঠুকতেন। জেলরক্ষীরা তাঁকে বাধা দিলেও কারও কথা শুনতেন না। এরপরেই তাঁকে চিকিতসার জন্য জেলের চিকিতসাকেন্দ্র ইয়র্ক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই নাকি মৃত্যু হয় তাঁর। করোনার অফিস থেকে জানানো হয়েছে, শারীরিক ও মানসিক সমস্যা জনিত অসুস্থতার পামারের মৃত্যুর কারণ। 

যদিও এভারটের মা রোজ পামার, স্থানীয় কেবল নিউজ স্টেশন এনওয়াই১ (NY1)-কে বলেন, "আমার ছেলে পুরোপুরি সুস্থ ছিল। শারীরিক, মানসিক কোনও সমস্যাই ছিল না ওর। বরাবরই ও খুবই মৃদুভাষী এবং দয়ালু।" ডোয়েন পামার বলেছেন যে এভারট চমৎকার স্বাস্থ্যের একজন ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক ছিলেন, এবং পরিবারটি কক্ষ-কোষের অ্যানিমিয়া বৈশিষ্ট্য বহন করে, তার ভাইয়ের এটি ছিল না।

এই মুহূর্তে পামারের পরিবারের একটাই দাবি, ময়নাতদন্তের সম্পূর্ণ ফলাফল জানাতে হবে তাঁদের। এই দাবিতে তাঁরা ইয়র্ক কাউন্টি কোর্টাউজের বাইরে আত্মীয়-পরিজনদের নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। পরিবারের আশা, এবার হয়ত প্রত্যক্ষদর্শীরা এগিয়ে এসে তাঁদের পাশে দাঁড়াবেন।

সুবিচার চেয়ে এভারেটের (Everett) পরিবার ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জাস্টিসফরএভারেট (justice4everett) পেজ খুলেছেন। সেই সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন স্থানীয় গির্জাকেও। আশা, এতে যদি টনক নড়ে প্রশাসনের।

.