This Article is From Jun 06, 2019

নিখোঁজ এএন-৩২-র চালকের স্ত্রীই ছিলেন বিমানটির এয়ার ট্রাফিক কনট্রোলার

বায়ুসেনার বিমানচালক আশিস তনওয়ারের স্ত্রীই জোড়হাটের এয়ার ট্রাফিক কনট্রোলারের দায়িত্বে ছিলেন যখন বারো জনকে নিয়ে আশিসের বিমান সোমবার বেলায় আকাশে উড়েছিল

নিখোঁজ এএন-৩২-র চালকের স্ত্রীই ছিলেন বিমানটির এয়ার ট্রাফিক কনট্রোলার

গত মাসেই হরিয়ানায় বাড়িতে এসেছিলেন আশিস

পালওয়াল (হরিয়ানা):

বায়ুসেনার বিমানচালক আশিস তনওয়ারের স্ত্রীই জোড়হাটের এয়ার ট্রাফিক কনট্রোলারের দায়িত্বে ছিলেন যখন বারো জনকে নিয়ে আশিসের বিমান সোমবার বেলায় আকাশে উড়েছিল। আর তার আধঘণ্টার মধ্যেই রাডারের নাগালের বাইরে চলে যায় বিমানটি। আজও আশিসের স্ত্রী অন্ধকারে রয়েছেন। হরিয়ানার পালওয়ালের বাসিন্দা ওই ফ্লাইট লেফটেন্যান্টের পরিবারের উৎকণ্ঠা প্রতি মুহূর্তে বেড়েই চলেছে। আশিসের মা সরোজ তনওয়ার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘‘আমার ছেলে ও পুত্রবধূ সন্ধ্যা গত মাসেই বাড়ি ফিরেছে। তার আগে ওরা থাইল্যান্ড সফরে গিয়েছিল। ফিরে আসার পরে আশি, আমাকে বলেছিল, ও শিগগিরি ফিরে আসবে। কিন্তু চার দিন হয়ে গেল এখনও আমি ওর কোনও খবর পেলাম না।''

সরোজ বিশ্বাস করেন, তাঁর ছেলে হয়তো দেশেই নেই। তিনি বলেন, ‘‘আমি নিশ্চিত বিমানটি চিনের সীমান্ত পেরিয়ে গিয়েছে। সরকার কেন চিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলে ওর দ্রুত ফিরে আসার ব্যবস্থা করছে না? অনুসন্ধান চলছে। কিন্তু আমাদের জানানো হচ্ছে খারাপ আবহাওয়ার কারণে নাকি ওরা বিমানটিকে খুঁজে পাচ্ছে না।''

ওই বায়ুসেনার বিমানটি উড়ে গিয়েছিল অরুণাচল প্রদেশের মেছুকা অ্যাডভান্স ল্যান্ডিং গ্রাউন্ডের উদ্দেশে। সাকুল্যে ৫০ মিনিটের পথ। কিন্তু তার আগেই ১২.২৭ থেকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি বিমানটিকে। বায়ুসেনার পক্ষ থেকে বিমানটিকে খুঁজে বের করার প্রবল চেষ্টা করা হচ্ছে। এমআই-১৭ ও এএলএইচ হেলিকপ্টার, সুখোই সু-৩০ ও সি-১৩০জে ফাইটার জেট তন্নতন্ন করে খুঁজে চলেছে বিমানটিকে। পাশাপাশি চালকহীন আকাশযানের সাহায্যে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

কিন্তু তনওয়ার পরিবার এতে সন্তুষ্ট নয়। নিখোঁজ চালকের কাকা উদয়বীর সিংহ এএনআইকে বলেন, ‘‘পূর্বাঞ্চলে চার লাখের উপরে সেনা জওয়ান রয়েছে। তাদের কেন পাঠানো হচ্ছে না আমাদের ছেলেটাকে খুঁজতে? চিনের সীমান্তে ঢুকে পড়ার সম্ভাবনাটাও ওদের ভেবে দেখা উচিত।'' এ ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

উদয়বীর জানান, আশিস তনওয়ার সেনায় যোগ দিয়েছিলেন, কারণ তাঁর পরিবারের প্রায় সব সদস্যই হয় বায়ুসেনা বা আর্মিতে কর্মরত থেকেছেন। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার পরে ও বিটেক কোর্স করতে ভর্তি হয় কানপুরে। কয়েকটি বহুজাতিক সংস্থায় কাজ করার পরে বায়ুসেনায় যোগ দেয় ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে। ২০১৫ সালের মে মাসে ও বিমান চালক হয়।''

.