আরুষি হত্যাকাণ্ডে তার বাবা-মাকে ছাড়ের বিরোধিতা করে সিবিআই-এর আবেদন স্বীকার করে নিল শীর্ষ আদালত
New Delhi: গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এই হত্যাকান্ড। এতটাই, যে, বলিউডেও তৈরি হয়েছিল ছবি। এই সমাজের বিভিন্নমহল থেকে বিভিন্ন মতামত উঠে এসেছিল এই হত্যাকান্ড মামলা নিয়ে। সেই আরুষি তলোয়ার হত্যাকান্ড মামলায় সিবিআইয়ের আবেদনই বহাল রেখে দিল শীর্ষ আদালত। সিবিআই তাদের রিপোর্টে জানিয়েছিল, 2008 সালে নুপূর তলোয়ার এবং রাজেশ তলোয়ার হত্যা করেছিল তাঁদের একমাত্র কন্যা আরুষি এবং পরিচারক হেমরাজকে। গত অক্টোবর থেকে ছাড়া পাওয়া দন্তচিকিৎসক তলোয়ার দম্পতির উদ্দেশে নোটিস জারি করল আদালত।
হেমরাজের স্ত্রী খুমকলা বানজাড়েও আদালতের কাছে ওই দম্পতিকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য আবেদন করেছিলেন। ঘটনাচক্রে, তিনিই প্রথম, যিনি আদালতের কাছে তলোয়ার দম্পতিকে ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে পিটিশন জমা দেন।
গত বছরের 12 অক্টোবর এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানায়, নয়ডাতে তাঁদের বাড়িতে যে দুটি খুনের ঘটনা ঘটেছিল, সেখানে ওই দম্পতি যে জড়িত, তার কোনও প্রমাণ নেই। চার বছর জেলে থাকার পর আদালত ওই দম্পতিকে খালাস করে দিয়েছিল। 2013 ওই দম্পতিকে সিবিআই আদালতে তাঁদের দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয়। যা খারিজ করে দিয়েছিল এলাহাবাদের হাইকোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টে ওই দম্পতির বিরুদ্ধে পিটিশন জমা দিয়ে সিবিআই বলে, এলাহাবাদ হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত অনেক ক্ষেত্রেই একদম ভুল।
13 বছরের আরুষিকে তার নিজের শোওয়ার ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল গলার নলি কাটা অবস্থায়। আরুষির মৃতদেত পাওয়ার পরেরদিনই তাদের বাড়ির পরিচারক নেপালের বাসিন্দা হেমরাজের দেহ উদ্ধার করা হয় বাড়ির ছাদ থেকে।
তলোয়ার দম্পতি সবসময়েই তাঁদের নিজেদের সন্তানের হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত করার বিরোধিতা করে বলে এসেছে, ভুলপথে চালিত হওয়া তদন্ত এবং নেতিবাচক মিডিয়া কভারেজেরই ফল ভুগতে হচ্ছে তাঁদের।
তদন্তকারী অফিসাররা জানান, এই দুটি খুনের ঘটনাই বাড়ির ভিতরে ঘটেছিল। বাইরে থেকে কেউ আসেনি। তলোয়ারদের ফ্ল্যাটের দরজা বা জানলা ভাঙারও কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। আর, খুন হয়ে যাওয়া দুই ব্যক্তিকেও শেষবার যাঁরা জীবিত অবস্থায় দেখেছিলেন, তাঁরা হলেন রাজেশ ও নুপূর তলোয়ার।
.