ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অধিকর্তারা গতকাল দিল্লিতে একটি সীমান্ত সমন্বয় বিষয়ক সম্মেলনে যোগ দিয়ে পরস্পরের সঙ্গে বৈঠক করেন। এটি দুই দেশের এই পর্যায়ের কর্তাদের মধ্যে সাতচল্লিশতম বৈঠক। যা আপাতত নয়াদিল্লিতে আয়োজিত হচ্ছে। শুরু হয়েছে আগামী তেসরা সেপ্টেম্বর থেকে। চলবে আগামী আটই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ভারতের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) বা সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সর্বময় কর্তা কেকে শর্মা। অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মেজর জেনারেল মহম্মদ শফিনুল ইসলাম। দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সম্পর্কের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস ও সমঝোতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ কিছু পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়েছে।
দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধান কর্তাদের মধ্যে এমন বৈঠক 1975 সাল থেকেই হচ্ছে। চলতি বছরে বাংলাদেশের ঢাকাতে বিএসএফ ও বিজিবি’র মধ্যে এমন বৈঠক হয়েছিল এপ্রিল মাসের তেইশ তারিখ থেকে সাতাশ তারিখ পর্যন্ত। ওই বৈঠকেই ঠিক হয়েছিল যে ডিজি পর্যায়ের পরের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে দিল্লিতে।
দু’পক্ষই বৈঠকে নিজেদের অ্যাজেন্ডা প্রকাশ করে। বিএসএফের অ্যাজেন্ডার মূল বক্তব্যগুলির মধ্যে ছিল, সীমান্তে বিএসএফের কর্মীদের ওপর বাংলাদেশি অপরাধীদের আক্রমণের বিরুদ্ধে কীভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায়, সেটিও। এছাড়া, যুগ্মভাবে সীমান্ত বিষয়ক অপরাধ গুলিকে দমন করা, সীমান্তের পরিকাঠামোর ইস্যুতে একে অপরের পাশে দাঁড়ানো, ভারতের বিদ্রোহী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করা ইত্যাদি।
দু’দেশের এই বৈঠক আশানুরূপ হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)