This Article is From Mar 26, 2020

দিল্লির করোনা পজিটিভ চিকিৎসকের সংস্পর্শে আসা ৯০০ জন কোয়ারান্টাইনড, বাড়ছে আতঙ্ক!

Coronavirus Positive: করোনা আক্রান্ত ওই চিকিৎসকের থেকে রোগ ছড়ায় তাঁর স্ত্রী, কিশোরী মেয়ে সহ আরও একজনের শরীরে

দিল্লির করোনা পজিটিভ চিকিৎসকের সংস্পর্শে আসা ৯০০ জন কোয়ারান্টাইনড, বাড়ছে আতঙ্ক!

Delhi Coronavirus: দিল্লির এই মহল্লা ক্লিনিকেই কর্মরত ছিলেন করোনা আক্রান্ত ওই চিকিৎসক

হাইলাইটস

  • করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত দিল্লির এক চিকিৎসক
  • তাঁর সংস্পর্শে আসা ৯০০ জনকে কোয়ারান্টাইন করে রাখার সিদ্ধান্ত আপ সরকারের
  • চিকিৎসকের থেকে ইতিমধ্যেই রোগ ছড়িয়েছে স্ত্রী-কন্যা ও আরও একজনের শরীরে
নয়া দিল্লি:

দিল্লির করোনা পজিটিভ (Coronavirus Positive) চিকিৎসকের সঙ্গে গত ১৪ দিনে যে সমস্ত ব্যক্তিরা সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদের কোয়ারান্টাইন করে রাখার সিদ্ধান্ত নিল সে রাজ্যের (Delhi) সরকার। আপ মন্ত্রিসভার স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ৯০০ জনকে (Coronavirus) কোয়ারান্টাইন করে রাখা হয়েছে। জানা গেছে, ওই ৯০০ জনের মধ্যে অধিকাংশই দিল্লির মহল্লা ক্লিনিকে এর আগে ওই চিকিৎসককে দেখাতে এসেছিলেন, কিন্তু পরে জানা যায়, চিকিৎসক নিজেই করোনা আক্রান্ত। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগাম সতর্কতা হিসাবেই ওই ৯০০ জনকে আপাতত ১৪ দিনের জন্যে আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দিল্লিতে নভেল করোনা ভাইরাস বা COVID-19 এ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩৬ এ পৌঁছে গেছে।

জানা গেছে, সৌদি আরব থেকে ফেরা এক করোনা আক্রান্ত মহিলার সংস্পর্শে আসার পরেই আক্রান্ত হন ওই চিকিৎসক, তারপর রোগ ছড়ায় চিকিৎসকের স্ত্রী, কিশোরী মেয়ে সহ আরও একজনের শরীরে। ওই চিকিৎসক উত্তর-পূর্ব দিল্লির একটি মহল্লা ক্লিনিকে কর্মরত ছিলেন। ফলে প্রতিদিনই অসংখ্য রোগী তাঁর কাছে এসেছিল। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেখানেই চিকিৎসকের শরীর থেকে ওই মারণ ভাইরাস বাসা বাঁধতে পারে অন্যদের শরীরেও।

সপরিবারে করোনা-আক্রান্ত চিকিৎসক, সংস্পর্শে আসা বাকিদেরও কোয়ারান্টাইন

রাজধানীর (Delhi) অলিতে গলিতে চিকিৎসা পরিষেবা দেয় মহল্লা ক্লিনিকগুলো। চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার আশায় প্রতিদিন সেখানে ভিড় জমান অসংখ্য রোগী। মৌজপুরের ওই ক্লিনিকে ১২ মার্চ থেকে ১৮ মার্চ, যাঁরা ওই চিকিৎসককে দেখাতে এসেছিলেন তাঁদের উদ্দেশে বলা হয়েছে যে, নিজেদের শরীরে করোনার লক্ষণ দেখলেই তৎক্ষণাৎ সেকথা স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্রে জানাতে হবে।

বর্তমানে ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান মতে, COVID-19 এর সংক্রমণে  এদেশে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন। 

"আমরা না ভাইরাস তৈরি করেছি, না ইচ্ছাকৃতভাবে সেটা ছড়িয়েছি": চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র

এদিকে করোনা সংক্রমণ রুখতে ২১ দিনের লকডাউন পর্ব চলছে ভারতে। ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত খুব প্রয়োজন ছাড়া দেশবাসীকে ঘরের চৌকাঠ না পেরোনোরই পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এদিকে করোনা আতঙ্ককে আরও বাড়িয়ে দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে যে শুধুমাত্র লকডাউন করে ওই মারণ ভাইরাসের আক্রমণ ঠেকানো যাবে না। হু-এর মহানির্দেশক টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস বলেন যে COVID-19 এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যে শুধুমাত্র ঘরবন্দি থাকা দেশ তথা গোটা বিশ্ব থেকে এই ভাইরাস নির্মূল করার পক্ষে যথেষ্ট পদক্ষেপ নয়। এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে আরও আক্রমণাত্মক হওয়ার ডাক দিয়েছেন তিনি।

.