আরিয়ানার বয়সও চিন্তার বিষয় হয়ে উঠেছিল চিকিৎসকদের কাছে।
হাইলাইটস
- বয়স এত কম বলে অস্ত্রপচার করতে ভয় হচ্ছিল চিকিৎসকদের
- টানা দশ ঘণ্টার চেষ্টায় অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখালেন দিল্লির চিকিৎসকরা
- দশ ঘণ্টার এই অস্ত্রপচারে অনেক ধরনের জটিলতা ছিল
নিউ দিল্লি: বয়স মাত্র পাঁচ মাস। এরই মধ্যে জীবন শেষ হতে বসেছিল তার। বড় আকার নিচ্ছিল যকৃতের সমস্যা (Liver Disorder)। বয়স এত কম বলে অস্ত্রপচার করতে ভয় হচ্ছিল চিকিৎসকদের। কিন্তু শেষমেশ ছোট্ট মেয়ের শরীরে বসল মায়ের যকৃৎ। টানা দশ ঘণ্টার চেষ্টায় অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখালেন দিল্লির চিকিৎসকরা। তাঁদের দাবি এই বঙ্গ তনয়ার থেকে কম বয়সে কারও শরীরে যকৃৎ আগে কখনও বসানো হয়নি। বাবা অরিজিৎ দে জানান তাঁর মেয়ে আরিয়ানার শরীরে জন্ডিস ধরা পড়ে মাস দুয়েক আগে। চিকিৎসকরা বলেন এটি খুব সাধারণ প্রকারের জন্ডিস নয়। কয়েকদিনের মধ্যে শরীরে অন্য জটিলতাও (New Complications) দেখা দিতে থাকে। মার্চের প্রথম সপ্তাহে (First Week Of March) হাসপাতালে ভর্তি হয় আরিয়ানা। চিকিৎসকদের একটি দল কয়েকটি পরীক্ষার পর কার্যত জবাব দিয়ে দেয়। বলে দেয় দিন পাঁচেকের মধ্যে অস্ত্রপচার না করতে পারলে আর কিছুই করার থাকবে না। কিন্তু উত্তরপাড়ার অরিজিৎ শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার কথা ভাবেন। স্ত্রী সায়ান্তনী আর ভাইকে নিয়ে দিল্লি উড়ে আসেন। দক্ষিণ দিল্লির একটি হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করে সব ব্যবস্থা পাকা করে পরিবার।
অসমের রাস্তায় মুসলমান বৃদ্ধকে ফেলে মার,শুয়োরের মাংস খাওয়ানোর অভিযোগ
সাকেত এলাকার সেই ম্যাক্স সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসক সুভাষ গুপ্ত জানান আরিয়ানাকে নিজের যকৃৎ দিতে চেয়েছিলেন অরিজিৎ। কিন্তু কয়েকটি জটিলতা থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি। শেষমেশ মায়ের যকৃৎ বসে মেয়ের শরীরে। চিকিৎসক জানান, দশ ঘণ্টার এই অস্ত্রপচারে অনেক ধরনের জটিলতা ছিল। তাছাড়া হাতে সময় ছিল না বললেই চলে। একই সঙ্গে আরিয়ানার বয়সও চিন্তার বিষয় হয়ে উঠেছিল চিকিৎসকদেরব কাছে। পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে অক্টোবরের সাত তারিখ আরিয়ানার জন্ম হয় আর অস্ত্রপচার হয় মার্চ মাসের সাত তারিখ। শেষমেশ ফলপ্রদ হলেও চিকিৎসার জন্য খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ টাকা।