This Article is From Jun 17, 2020

মনের ঘরে আজ নেই "দোসর", ৭ম মৃত্যুবার্ষিকীতে ঋতুপর্ণ ঘোষকে স্মরণ

"৩০ শে মে" নামে ইউটিউব ভিডিও তৈরি করে পরিচালকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন শিল্পীরা, কবি শ্রীজাতের কবিতা পাঠে সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, গানে লোপামুদ্রা মিত্র

মনের ঘরে আজ নেই

Death Anniversary of Rituparna Ghosh: ২০১৩ সালে মাত্র ৪৯ বছর বয়সে সকলকে কাঁদিয়ে দিয়ে চলে যান প্রিয় পরিচালক

হাইলাইটস

  • ২০১৩ সালে প্রয়াত হন ঋতুপর্ণ ঘোষ
  • ৩০ মে তারিখটি জলভরা চোখে আজও স্মরণ করে বাঙালি
  • ঋতুপর্ণ ঘোষকে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রকাশ করা হল ইউটিউব ভিডিও
কলকাতা:

আজ ৩০ মে, বাঙালির মনের ঘর এই দিনটাতে (Death Anniversary of Rituparna Ghosh) একটু বেশি রকমই হু-হু করে ওঠে। হ্যাঁ, করোনা ত্রাস আর আমফানের দুর্ভোগের মধ্যেও আবেগপ্রিয় বাঙালি এই দিনটিকে আলাদা করে মনে করছে, কারণ আজ থেকে ঠিক ৭ বছর আগে চলে গেছিলেন প্রাণের "দোসর" ঋতুপর্ণ ঘোষ। ২০১৩ সালে মাত্র ৪৯ বছর বয়সে সকলকে কাঁদিয়ে দিয়ে চলে যান সকলের প্রিয় পরিচালক (Rituparno Ghosh)। তবে তাঁর (Rituparno) শূন্যতার ৭ বছর পেরিয়েও এখন বাঙালির মনের বৈঠকখানায় জাঁকিয়ে বসে আছেন "ঘোষ অ্যান্ড কোম্পানি"। লকডাউনে ঘরবন্দি অবস্থাতেও আজ "ঋতু"বিহনের এই বিশেষ দিনটিকে স্মরণ করেছেন শিল্পী লোপামুদ্রা মিত্র। "৩০ শে মে" নামে একটি ইউটিউব ভিডিও তৈরি করে বিখ্যাত পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন শিল্পীরা। কবি শ্রীজাতের লেখা কবিতা পাঠ করেছেন সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। "বন্ধু রহো রহো সাথে", গানের মাধ্যমে বুকে শোকের ঢেউ এনে আছড়ে ফেলেছেন লোপামুদ্রা মিত্র। আর গোটা ভিডিওটি তৈরির পুরো বিষয়টির নেপথ্য রয়েছেন জয় সরকার এবং সম্পাদনায় উত্তরণ দে।

দেখে নিন, ঋতুপর্ণ ঘোষকে দেওয়া শিল্পীদের সেই শ্রদ্ধার নিবেদন:

প্রথমে বিজ্ঞাপন জগতের হাত ধরে কাজ শুরু করলেও পরবর্তীকালে চলচ্চিত্র পরিচালনার জগতে পা রাখেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। ১৯৯২ সালে তাঁর পরিচালনায় মুক্তি পায় প্রথম ছবি "হীরের আংটি", যা সহজেই মন কাড়ে দর্শকদের। এক অন্যরকমের গল্প বলা পরিচালককে যেন খুঁজে পায় বাঙালি দর্শক। পরবর্তীকালে তাঁর "১৯ এপ্রিল" ছবিটি শুধু বাণিজ্যিক ভাবেই সফল হয়নি, জিতে নেয় জাতীয় পুরস্কারও। তবে শুধু ১৯ এপ্রিলই নয়, তাঁর তৈরি "রেনকোট", "চোখের বালি", "তিতলি", "উৎসব", "অসুখ", "দ্য লাস্ট লিয়র", "সব চরিত্র কাল্পনিক", "আবহমান", একের পর এক ছবি বিভিন্ন বিভাগে জাতীয় পুরস্কার জিতে নেয়। 

পরে যখন একটি পত্রিকার হয়ে কলম ধরলেন ঋতুপর্ণ, তাও মুহূর্তেই জনপ্রিয় হল সবার মধ্যে। শুধু তাই নয়, বাঙালির ঘরের বৈঠকখানায় আড্ডা জমাতেও হাজির হল "ঘোষ অ্যান্ড কোম্পানি"।

কালের নিয়মে ঋতু আসে, ঋতু যায়। কিন্তু এই ঋতু যেন সকলের মনে চিরস্থায়ী। প্রতিদিনই যেন সবার মনের মধ্যে "আরেকটি প্রেমের গল্প" লিখছেন ঋতুপর্ণ ঘোষ।

.