This Article is From Mar 12, 2020

প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের কড়া পদক্ষেপ

HS Exam 2020: প্রায় ৭.৯ লক্ষ পরীক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে, এই পরীক্ষা চলবে ১২ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত, রাজ্যের মোট পরীক্ষা কেন্দ্র ৭৩৪টি

প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের কড়া পদক্ষেপ

WBCHSE: উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস বলেছেন হোয়াটসঅ্যাপের উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে

হাইলাইটস

  • উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে কড়া ব্যবস্থা
  • পরীক্ষা কেন্দ্রে থাকছে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে নজরদারির ব্যবস্থা
  • মোবাইল নিয়ে ঢোকা যাবে না পরীক্ষা কেন্দ্রে, সাফ জানিয়েছে সংসদ
কলকাতা:

চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হোয়াটসঅ্যাপে ফাঁস হয়ে গেছে এমন অভিযোগ ওঠায় উচ্চ মাধ্যমিক (Higher Secondary Examination) পরীক্ষায় ওই ধরণের কোনও অভিযোগ যাতে না ওঠে তাই আগে থেকেই সতর্ক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। বোর্ড (WBCHSE) জানিয়েছে, কোনওভাবেই যাতে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে হোয়াটসঅ্যাপে মাধ্যমে ফাঁস করা না যায় তার জন্যে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে, তা সত্ত্বেও এমন ধরণের অপচেষ্টা করার সময় কেউ ধরা পড়লে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রায় ৭.৯ লক্ষ পরীক্ষার্থী এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে, এই পরীক্ষা (HS Exam 2020) চলবে আজ অর্থাৎ ১২ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত। সংসদ জানিয়েছে রাজ্য জুড়ে মোট ৭৩৪টি পরীক্ষা কেন্দ্রে নেওয়া হবে দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের এই পরীক্ষা।

উচ্চ মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে স্পর্শকাতর জেলাগুলিতে পরীক্ষা শুরু আধ ঘণ্টা আগে থেকে ইন্টারনেট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পাশাপাশি পরীক্ষা কেন্দ্রে থাকছে সিসি ক্যামেরাও। এছাড়া প্রতিটি জেলার জেলাশাসকের কাছে চিঠি দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলোয় নজরদারি চালানোর কথা বলা হয়েছে। কোনওরকম প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে কিনা তার দিকেও নজরদারি চলবে। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোয় জারি থাকবে ১৪৪ ধারা।

আজ থেকে শুরু উচ্চ মাধ্যমিক, পরীক্ষা ঘিরে কড়া নজরদারি

হোয়াটসঅ্যাপে যাতে কোনওভাবে প্রশ্ন ফাঁস না হয় তার জন্যে সংবাদমাধ্যমগুলিকেও কড়া নজর রাখার অনুরোধ করেছে উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ড। "প্রার্থীদের ভুল পথে চালিত করার জন্যে কিছু ব্যক্তি এই ধরণের কাজ করেন, তারা পরীক্ষার্থীদের কেরিয়ার নিয়ে খেলেন এবং প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে মিডিয়াতেও ফরোয়ার্ড করে দেন। এমন কোনও ঘটনা হলে তৎক্ষণাৎ আমাদের জানাতে হবে। আমরা সাইবার সেলের কাছে ওই তথ্য পৌঁছে দেব এবং তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এবং ঘটনার তদন্ত করবে", বলেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস।

করোনা ভাইরাসের সাম্প্রতিক সংক্রমণের কথা মনে রেখে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে যে, পরীক্ষা কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক যদি মনে করেন যে কোনও পরীক্ষার্থী কোনও সংক্রামক রোগে ভুগছে যা অন্যান্য পরীক্ষাদের উপরেও প্রভাব ফেলতে পারে তবে ওই পরীক্ষার্থীকে আলাদা একটি ঘরে পরীক্ষাদানের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

সংসদ সভাপতি মহুয়া দাস আরও জানান যে, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, মালদহ, বীরভূম এবং উত্তর দিনাজপুর সহ অন্যান্য বেশ কয়েকটি জেলার পরীক্ষা কেন্দ্রে ২০০-২৫০ টি মেটাল ডিটেক্টরের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের হলে প্রবেশের আগে প্রয়োজনে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করে দেখা হবে।

পরীক্ষার হলে ফোন নিয়ে ধরা পড়া পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা: শিক্ষামন্ত্রী

এছাড়াও এবারে প্রশ্নপত্রের প্যাকেটে থাকবে বারকোড। কোনও পরীক্ষার্থীর কাছে মোবাইল নেই এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরই প্রশ্নপত্র দেওয়া হবে তাদের। কারও কাছ থেকে টুকলি পাওয়া গেলে সঙ্গে বাতিল করা হবে তার খাতা। প্রয়োজনে বাতিল করা হতে পারে তার রেজিস্ট্রেশনও। এছাড়াও শিক্ষকদের উপর হামলা, পরীক্ষা কেন্দ্রে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠলেও পরীক্ষার্থীকে আরএ করা হবে। গোটা ঘটনায় স্কুলের গাফিলতি প্রমাণিত হলে বাতিল করা হতে পারে অনুমোদনও। 

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পক্ষ থেকে একথাও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, পরীক্ষা শুরুর আধ ঘণ্টা আগে হলে ঢুকতে হবে, বৈধ প্রবেশপত্র ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতর প্রবেশ করা যাবে না। পরীক্ষা শুরুর প্রথম এক ঘণ্টা কোনও পরীক্ষার্থীকেই পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। একই নিয়ম চালু থাকছে পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক, সংসদ প্রতিনিধি থেকে সবার ক্ষেত্রে।

.