This Article is From Feb 27, 2019

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা: শিক্ষকরাও মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না, জানাল সরকার

রাজ্যের শিক্ষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের সঙ্গে একটি বৈঠকও হয় তাঁর।

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা: শিক্ষকরাও মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না, জানাল সরকার

পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে অনড় পার্থ। (ছবি প্রতীকী)

কলকাতা:

শুধু পরীক্ষার্থীদেরই নয়, উচ্চমাধ্যমিক চলার সময় পরীক্ষকদেরও পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতরে মোবাইল ফোন নিয়ে ঢোকার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা আটকাতেই সরকারের পক্ষ থেকে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়। রাজ্যের শিক্ষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের সঙ্গে একটি বৈঠকও হয় তাঁর। সেই বৈঠকে শিক্ষককরা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন, যাতে পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের ‘শিক্ষকদের পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফন নিয়ে না প্রবেশ করা'র সিদ্ধান্তটিকে পুনর্বিবেচনা করে দেখা হয়। কিন্তু, তাঁদের সেই আর্জি পার্থ চট্টোপাধ্যায় খারিজ করে দেন।

ওই বৈঠকের পর মঙ্গলবার রাতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমি তাঁদের উল্টে প্রশ্ন করি যে, যদি প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায়, তবে তার দায় কে নেবেন? এমন একটি ঘটনার দায় নিতে কি কেউ প্রস্তুত?”, পর্ষদের জারি করা নির্দেশ যাতে কঠোরভাবে পালন করা হয়, তার দিকে লক্ষ রাখার ব্যাপারেও অনুরোধ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী।

গোধরা হত্যাকাণ্ডের ১৬ বছর, আজই সবরমতী এক্সপ্রেসে পুড়িয়ে মারা হয় ৫৯ জনকে

পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পরীক্ষাকেন্দ্রের সুপারভাইজার এবং কমিটির বিশেষ প্রতিনিধি ছাড়া পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে কেউ মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।

প্রসঙ্গত, সদ্যসমাপ্ত মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছে দাবি জানিয়ে বহু বিষয়ের প্রশ্নপত্র সোশ্যাল মিডিয়াতে চলে আসে। যদিও, ওই বিষয়ে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী জানান, এমন ঘটনার খবর নেই। ওগুলো রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তির ক্ষতি করার জন্য একশ্রেণির মানুষের অসৎ প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।

পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর এক ঘন্টা আগেই প্রবেশ করতে হবে বলে যে নির্দেশিকা জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ, সেই বিষয়ে তাঁর কী মত, তা জানতে চাইলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শিক্ষক সংগঠন আমার সামনে এই ইস্যুটিও নিয়ে এসেছিল। তবে, এই ব্যাপারটা উচ্চমাধ্যমিক কাউন্সিলই দেখুক। আমি এই সিদ্ধান্তের পক্ষে নই, আবার, তার বিরোধিতাও করছি না”।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.