This Article is From Nov 06, 2019

মোদির বারানসীতে দূষণ থেকে বাঁচতে স্বয়ং ভগবান মুখ ঢাকলেন অক্সিজেন মাস্কে!

দীপাবলিতে মানুষজন এই অঞ্চলে এত পরিমাণে আতসবাজি জ্বালিয়েছে যে, পরেরদিন থেকেই গঙ্গার ঘাটে ঘাটে ধোঁয়ায় ভর্তি হয়েছিল।

মোদির বারানসীতে দূষণ থেকে বাঁচতে স্বয়ং ভগবান মুখ ঢাকলেন অক্সিজেন মাস্কে!

দূষণ থেকে বাঁচতে বারানসীতে ভগবান মুখ ঢেকেছেন মুখোশে

সারা দেশ দূষণ নিয়ে চিন্তিত। দিল্লি তো বটেই, বড় বড় সমস্ত শহরেই দূষণের কবল থেকে বাঁচতে মুখোশে মুখ ঢেকেছেন সাধারণ মানুষ। শুধুই কি মানুষ? মুখ ঢেকে দেওয়া হয়েছে ঈশ্বরেরও! প্রধানমন্ত্রী মোদির সংসদীয় এলাকা বারানসীও ভয়ঙ্কর দূষণের সম্মুখীন, আর দেবতাদের শহর বারানসীতেই স্বয়ং ভগবানকেও দূষণ থেকে বাঁচাতে পরানো হয়েছে মুখোশ। দূষিত বায়ু থেকে আরাধ্য ঈশ্বরকে রক্ষা করতে মূর্তিগুলিকে মুখোশ পরিয়ে রেখেছেন কাশীর মানুষজন। বারানসী সিগড়াতে অবস্থিত কাশী বিদ্যাপীঠ বিদ্যালয়ের নিকটে অবস্থিত শিব-পার্বতীর মন্দিরে অবস্থিত প্রতিমার মূর্তিগুলিকে পুরোহিত এবং ভক্তেরা মিলে মুখোশ পরিয়ে দিয়েছেন। পুরোহিত হরিশ মিশ্র্র আইএএনএসকে বলেন, “বারাণসী আস্থার নাগরী। আমরা দেবতাদের এখানে মানুষের মতো করেই ভাবি। যখন খুব গরম পড়ে তখন দেবতাদের শরীর ঠাণ্ডা রাখার জন্য তাঁদের শরীরে চন্দন লেপে দেওয়া হয়। শীতকালে দেবতাদের সোয়াটারও পরানো হয়। তাই যখন মানুষের মতোই দেখি তাহলে নিশ্চয়ই তাঁদের এই দূষণে খুবই কষ্ট হচ্ছে। তাই আমরা প্রতিমাদের মুখ মুখোশে ঢেকে দিয়েছি।”

আরও পড়ুনঃ দূষণের মাত্রা বাড়ায় তাজমহলের গেটে বসানো হল দু'টি এয়ার পিউরিফায়ার যন্ত্র

তিনি জানান ভোলানাথ, দেবী দুর্গা, কালী এবং সাঁই বাবার পুজো করার পরে তাঁদের মুখোশ পরানো হয়েছে। প্রতিমাদের মুখোশ পরতে দেখে দূষণ থেকে বাঁচতে মানুষজন নিজেরাও মুখোশ পরতে শুরু করেন। ছোট বাচ্চাদেরও দূষণ থেকে বাঁচাতে মুখ ঢেকে রাখা হচ্ছে।

ehnk99lg

''হরিশ মিশ্র বলেন, তিনি বেশ অনেকটা সময় জুড়েই প্রতিমাগুলিকে মুখোশ পরিয়ে রেখেছিলেন। কালীর মূর্তিতে মুখোশ পরানো হলে তাঁর জিভও ঢাকা পড়ে যায়। শাস্ত্রে নাকি বলা আছে, কালীর জিভ ঢাকা যাবে না, তাই পরে অবশ্য তাঁর মুখোশ খুলে ফেলা হয়। পুরোহিত বলেন, “এখন কিছুটা হলেও দূষণ কমছে, তাই যদি ফের বাড়ে তাহলে প্রতিমাদের মুখোশ পরানো হবে।”

আরও পড়ুনঃ ছটপুজোর জন্য দিল্লির যমুনা নদীতে বিষাক্ত ফেনার মধ্যেই দাঁড়ালেন ভক্তরা

তিনি জানান, দীপাবলিতে মানুষজন এই অঞ্চলে এত পরিমাণে আতসবাজি জ্বালিয়েছে যে, পরেরদিন থেকেই গঙ্গার ঘাটে ঘাটে ধোঁয়ায় ভর্তি হয়েছিল। ধোঁয়ায় চোখ জ্বলা থেকে শুরু করে শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যাও দেখা দিয়েছে। গাছ পালা কেটে ফেলার ফলে এখানে অক্সিজেনেরও অভাব রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, “এই ব্যাপক ধোঁয়া আর ধোঁয়াশা নিয়ে এত কথা বলার পরেও শহরের কর্পোরেশনের কর্মচারীরা রাস্তাতেই আবর্জনা পোড়ান। নগওয়া, নরিয়া, সিগড়া, জৈতপুরা সহ বিভিন্ন স্থানেই আবর্জনা পোড়ানো হয় যা আমাদের মন্দিরের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ করে ফেলছে।”

পুরোহিত বলেন, এখানে দূষণের মাত্রা অনেক বেড়ে গেছে। শহরের দমকল বাহিনী গাছে গাছে জল দিয়েছে। এখানে শীতকালে পিএম ২.৫ মাত্রা ৫০০-তে পৌঁছে গিয়েছে।

 



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.