This Article is From Jun 28, 2020

"খিদের চেয়ে করোনা ভালো!" ফের কাজ খুঁজতে পরিযায়ী হচ্ছেন উত্তরপ্রদেশের শ্রমিকরা

কলকাতার এক সংস্থায় টেকনিশিয়ানের কাজ করা দিবাকর প্রসাদ সেই হোলির সময় গ্রামে ফিরেছিলেন। কিন্তু এরপর সংক্রমণ-বৃদ্ধি ও লকডাউনের কারণে আর কলকাতায় ফিরতে পারেননি।

কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিকদের দাবি, "তাঁরা কাজে ফিরতে ঝুঁকি নেবেন।"

লখনউ:

উত্তরপ্রদেশে ঘরে ফেরা ৩০ লক্ষ পরিযায়ী (Migrant Labours) শ্রমিকদের অধিকাংশই ফের কাজে ফিরছেন। তাঁদের কাছে খিদেতে মরার চেয়ে ভাইরাস সংক্রমণ ভালো। দেওরিয়া থেকে গোরক্ষপুরের বাসে ওঠার আগে এমনটাই সংবাদমাধ্যমকে জানান ওই পরিযায়ী শ্রমিকরা। গোরক্ষপুর থেকে বিশেষ ট্রেন ছাড়ছে মহারাষ্ট্র ও গুজরাতের উদ্দেশ্যে। সেই ট্রেনে সওয়ার হতেই এই বাসযাত্রা। শনিবার সংবাদমাধ্যমকে বললেন দিবাকর প্রসাদ এবং খোরশেদ আনসারি। মুম্বইয়ের এক কাপড়ের করে কাজ করা খোরশেদ এনডিটিভিকে বলেন, "আমার সংস্থা এখনও বন্ধ। তাই একমাস আগে গ্রামে ফিরেছি। এখন নতুন কাজের খোঁজে আবার মুম্বই যাচ্ছি। যদি আমার রাজ্যে কর্মসংস্থান থাকত, তাহলে আবার মুম্বই ফিরতাম না। খিদের থেকে করোনা ভালো। আমার সন্তানরা করোনায় মরার চেয়ে আমি মরি, সেটাই ভালো।"

qii6srfg

লকডাউন চলাকালীন ৩০ লক্ষ শ্রমিক উত্তরপ্রদেশ ফিরেছেন।

এদিকে, কলকাতার এক সংস্থায় টেকনিশিয়ানের কাজ করা দিবাকর প্রসাদ সেই হোলির সময় গ্রামে ফিরেছিলেন। কিন্তু এরপর সংক্রমণ-বৃদ্ধি ও লকডাউনের কারণে আর কলকাতায় ফিরতে পারেননি। তবে, আনলক পর্বে তাঁর সংস্থার শাটার উঠেছে। তাই দিবাকর প্রসাদ বলেন, "আমি ভীত কিন্তু তার চেয়ে বেশি ভীত গ্রামে থাকতে। নিজে কী খাব? পরিবারকে কী খাওয়াবো?" স্ত্রী-সন্তান-সহ তাঁর পরিবারের সদস্য সংখ্যা সাত।

এদিকে, সরকারি তরফে মনরেগা প্রকল্পের কাজের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ইউপি ফেরা শ্রমিকদের। পাশাপাশি ক্ষুদ্র শিল্পে প্রায় ৬০ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এমনটাও শনিবার রাজ্য সরকার দাবি করেছে। কিন্তু তারপরেও দিল্লি, মুম্বই, সুরাত ফেরার ঢল।

এ বিষয়ে এসি টেকনিশিয়ান মহম্মদ আবাদের দাবি, "সরকার এখানে প্রতিশ্রুতি দিলেও সেই প্রকল্প আমাদের অবধি পৌঁছয় না। তাছাড়া মুম্বইতে টাকা বেশি। এখানে থেকে সেটা পাব না। তাই খানিকটা বেকারের মতো থাকা। যেখানেই যাবেন আপনাকে শুনতে হবে কাজ নেই।"

.