This Article is From Mar 23, 2020

"জনতা কার্ফু" না মেনে রবিবার রাস্তায় নেমে পড়লেন খোদ সরকারি আধিকারিকরাই!

Coronavirus: ভিডিও ক্লিপটিতে দেখা যাচ্ছে, পিলভিটের পুলিশ সুপার শঙ্খ বাজাতে বাজাতে চলেছেন, জেলা শাসক রাস্তায় অসংখ্য লোক জড়ো করে হাততালি দিচ্ছেন

Coronavirus Lockdown: প্রথমে ভিডিওটি পিলভিট পুলিশ শেয়ার করলেও পরে তা ডিলিট করে দেয় তাঁরা

হাইলাইটস

  • পিলভিট পুলিশের আধিকারিক ও জেলা শাসক ঘণ্টা-শাঁখ বাজিয়ে চলেছেন
  • রাস্তায় রীতিমতো মিছিল করে ওই কাণ্ড ঘটালেন তাঁরা
  • "জনতা কার্ফু" চলাকালীনই ঘটা ওই কাণ্ড ঘিরে শুরু বিতর্ক
লখনউ:

উত্তরপ্রদেশের লখনউ থেকে প্রায় আড়াইশো কিলোমিটার দূরে পিলভিট জেলায় কয়েকজন প্রশাসনিক আধিকারিক যা কাণ্ড ঘটালেন তা দেখে এই প্রশ্ন উঠছে যে, সাধারণ মানুষ তো কোন ছাড়, আদৌ কতটা সতর্ক সরকারি আধিকারিকরা? রবিবার প্রধানমন্ত্রী মোদির আহ্বানে দেশ জুড়ে "জনতা কার্ফু" (Janata Curfew) চলাকালীন প্রশাসনিক আধিকারিকদের কীর্তির একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে শেয়ার হয় এবং ভিডিওটি নিয়ে তুমুল বিতর্কও তৈরি হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একজন পুলিশ আধিকারিককে সঙ্গে নিয়ে এক জেলা শাসকের নেতৃত্বে অনেক লোক ভিড় করে ঘণ্টা বাজিয়ে, স্টিলের প্লেট বাজাচ্ছেন। করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতির মধ্যেই যে সমস্ত মানুষজন অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার সঙ্গে জড়িত তাঁদের প্রতি সম্মান জানাতে রবিবার বিকেল ৫টায় হাততালি দেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু বারেবারেই সকলকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যাতে কোনও জমায়েত (Coronavirus Lockdown) না হয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, হাততালির বদলে রাস্তায় দলবল নিয়ে বেরিয়ে মহানন্দে থালা, ঘণ্টা ইত্যাদি বাজাতে শুরু করেছেন খোদ সরকারি আধিকারিকরাই! এই ঘটনা ফের আঙুল তুললো প্রশাসনের বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরোর দিকে।

"অনেকেই লকডাউনের গুরুত্ব বুঝছেন না": করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী মোদি

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি নিয়ে ব্যাপক শোরগোল শুরু হওয়ার বিপাকে পড়ে ঢোঁক গিলেছে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ প্রশাসন। পিলভিট পুলিশের তরফ থেকে বলা হয় ওই সরকারি আধিকারিকরা মোটেই "কার্ফু অস্বীকার করেননি"।

লকডাউন যাঁরা মানবেন না তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন

অথচ ওই ভিডিও ক্লিপটিতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ সুপার অভিষেক দীক্ষিত  শঙ্খ বাজাতে বাজাতে রাস্তা দিয়ে চলেছেন, জেলা শাসক বৈভব শ্রীবাস্তব চারদিকে অসংখ্য লোক জড়ো করে হাততালি দিচ্ছেন, বাজানো হচ্ছে স্টিলের থালা বাসনও। এমনকী কিছু বাচ্চাকেও ওই ভিড়ের মধ্যে দেখা গেছে। গোটা ঘটনা নিয়ে উঠেছে বড়সড় প্রশ্ন।

পরে, একটি টুইট বার্তায় পিলিভট পুলিশ জানায়, যাতে স্থানীয়রা তাঁদের বাড়িঘর থেকে না বের হন তা খতিয়ে দেখতেই দলবল সমেত রাস্তায় পর্যবেক্ষণে নামেন ওই আধিকারিকরা। "জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপার কারফিউ ভাঙার কোনও চেষ্টা করেননি। কিছু মানুষ বাড়ি থেকে (রাস্তায়) বেরিয়ে আসছিলেল, তাই তাঁদের ফিরে যেতে বলা হচ্ছিল", হিন্দিতে টুইট করে পুলিশ।

"জনতা ওই সময় সংহতি প্রকাশের জন্যে প্রধানমন্ত্রী মোদির আবেদনে সাড়া দিয়ে হাততালি দিচ্ছিল। ওই উপলক্ষে যাতে কোনও সাধারণ মানুষ রাস্তায় না বেরিয়ে পড়েন তার জন্যে আমি জনগণকে নিজেদের বাড়ির ভিতরে থাকার জন্যেই ওভাবে আবেদন করছিলান, কারণ যে কোনও জনসমাবেশ সংক্রমণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে", ওই ভিডিওর পরিপ্রেক্ষিতে সাফাই দেন অভিযুক্ত জেলা শাসকও। গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

.