This Article is From May 24, 2020

এই প্রথম ঘরে বসেই ইদ পালন করবেন দেশের মানুষ: মুক্তার আব্বাস নকভি

সোমবার দেশজুড়ে পালিত হবে ইদ। তারই প্রাক্কালে সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নকভি (Mukhtar Abbas Naqvi) একথা জানিয়েছেন।

এই প্রথম ঘরে বসেই ইদ পালন করবেন দেশের মানুষ: মুক্তার আব্বাস নকভি

সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নকভি একথা জানিয়েছেন।

এই প্রথম দেশের মানুষ ইদ-উল-ফিতরের (Eid ul Fitr) প্রার্থনা ও উদযাপন দু'ই-ই পালন করবেন বাড়িতে বসে। সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নকভি (Mukhtar Abbas Naqvi) সংবাদ সংস্থা এএনআইকে একথা জানিয়েছেন। সোমবার দেশজুড়ে পালিত হবে ইদ। তারই প্রাক্কালে নকভি জানালেন, ‘‘কোভিড-১৯ অতিমারীর কারণে এই প্রথম আমরা ইদ-উল-ফিতরের প্রার্থনা ও উদযাপন দু'ই-ই পালন করব বাড়িতে বসে। তবে এতে উৎসবের উদযাপনে কোনও ঘাটতি হবে না। আমরা প্রার্থনা করব যেন খুব দ্রুত দেশ কোভিড-১৯-এর প্রকোপ থেকে মুক্ত হয়।'' প্রসঙ্গত, রমজান মাসের শেষে দশম ইসলাম মাস শাওয়াল (Shawwal) মাসের ১ তারিখে ইদ-উল-ফিতর (Eid ul Fitr) উৎসব পালন করা হয়। ইদ-উল-ফিতর, যাকে ইদ-আল-ফিতরও বলা হয়, তা এবার (Eid ul Fitr) ভারতে পালিত হবে ২৫ মে। তবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে তা পরিবর্তিত হতে পারে। তার সময়, তারিখ বিভিন্ন দেশে আলাদা আলাদা হয়। একবার শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেলেই শুরু হবে ইদ ২০২০ পালন।

শাওয়াল মাসের চাঁদ প্রথম দেখা যায় সৌদি আরবে। রবিবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, কুয়েত, কাতার ও বেহরিনের মতো মধ্যপ্রাচ্যের দেশে ইদ উদযাপিত হবে।

ইদের দিন প্রার্থনা করা ছাড়াও মসজিদে মুসলিমদের সামনে প্রদত্ত ধর্মীয় বক্তৃতা ‘খুতবা' শোনা কিংবা জাকাত-আল-ফিতর অর্থাৎ খাবার দান করা হয়। পাশাপাশি পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে দেখা করে ইদের শুভেচ্ছা জানানো ও উপহার দেওয়ার রীতিও রয়েছে। ছোটদের ‘ইদি' অর্থাৎ ছোট উপহার দেন বড়রা।

এদিকে দেশে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রেকর্ড গড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬,৭৬৭ জন। এই নিয়ে টানা তৃতীয় দিন ভারতে ৬,০০০-এরও বেশি নতুন কোভিড-১৯ আক্রান্তের খবর মিলেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১,৩১,৮৬৮।

মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৩,৮৬৭ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টাতেই ১৪৭ জনের প্রাণ গিয়েছে। বিশ্বব্যাপী নোবেল করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৫.২ মিলিয়ন ছাড়িয়েছে। সারা বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ৩৩৯,০০০ এরও বেশি।

ডিসেম্বরে চিনে প্রথম এই রোগের প্রকোপ দেখা দেওয়ার পর থেকে ১৯৬ টি দেশ ও অঞ্চলজুড়ে ৫,২৬০,৯৭০ টি করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। ভাইরাসের কারণে মৃত ৩৩৯,৭৫৮ জন।

.