This Article is From Jul 31, 2019

‘তিন তালাক’ বিল পাশ রাজ্যসভায়, 'ঐতিহাসিক দিন', বলল কেন্দ্র

লোকসভায় বিলটির বিরোধিতা করেছিল জনতা দল ইউনাইডেট, এআইএডিএমকে, এবং তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি। মঙ্গলবার বিলটি রাজ্যসভায় পাশ করাতে সাহায্য করে তারাই।

রাজ্যসভায় পাশ তাৎক্ষণিক 'তিন তালাক' বিল।

হাইলাইটস

  • সংখ্যালঘু হওয়ার পরেও রাজ্যসভায় পাশ তিন তালাক বিল
  • ভোটাভুটির আগে ওয়াকআউট করে নীতিশকুমারের জেডিইউ, এআইএডিএমকে
  • অনুপস্থিত থাকে পিডিপি, টিআরএস
নয়াদিল্লি:

বিতর্কিত তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিলটি পাশ হয়ে গেল রাজ্যসভায়। যদিও এদিন ওয়াকআউট ও অনুপস্থিতিও চোখে পড়ে। তাৎক্ষণিক তিন তালাক অর্থাৎ তিনবার “তালাক” শব্দ উচ্চারণের মধ্য দিয়ে স্ত্রীকে সঙ্গে সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ দেওয়ার প্রথায় দাঁড়ি টানতে আনা এই বিল। লোকসভায় বিলটি বিরোধীদের বাধার মুখে পড়ে। লোকসভায় তিন তালাক বিলটির বিরোধিতা করেছিল নীতিশ কুমারের জনতা দল ইউনাইডেট, এআইএডিএমকে, এবং কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি। মঙ্গলবার বিলটি রাজ্যসভায় পাশ করাতে সাহায্য করে তারাই ভোটাভুটিতে ওয়াকআউট করে নীতিশ কুমারের দল জনতা দল ইউনাইটেড এবং এআইএডিএমকে, অনুপস্থিত থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা কমিয়ে দেয় তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি।

ভোটাভুটিতে অনুপস্থিত থাকেন কংগ্রেস, সমাজবাদি পার্টি এবং শরদ পাওয়ারের দলের বহু সাংসদ। ভোটাভুটিতে অনুপস্থিত থাকেন শরদ পাওয়ার, প্রফুল্ল প্যাটেল, কংগ্রেসের চারজন এবং সমাজবাদি পার্টির দুজন সাংসদ। এক সপ্তাহের মধ্যে সংখ্যালঘু হওয়া সত্ত্বেও দুটি বিল পাশ হয়ে গেল রাজ্যসভায়। ফলে সংসদের উচ্চককক্ষে ভাগ্য বদলাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের। গত সপ্তাহে, বিতর্কিত তথ্য জানার অধিকার আইনের সংশোধনী বিলটি রাজ্যসভায় পাশ হয়ে যায়। ইস্যু ভিত্তিক সমর্থন করা টিআরএস, নবীন পট্টনায়েকের বিজু জনতা দল এবং জগনমোহন রেড্ডির বিজু জনতা দল বিলটি পাশ করাতে সাহায্য করে।

টিআরএস এবং বিজু জনতা দলের তরফে বিলটির বিরোধিতা করা হলেও, পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এভং অমিত শাহের ফোন পাওয়ার পর তাদের অবস্থান বদল হয়।

গত সন্ধায়, বিহারে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে নীতিশ কুমারকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিজেপির জোটসঙ্গী হওয়া সত্ত্বেও, তিন তালাক বিলের বিরোধিতা লুকিয়ে রাখেন জনতা দল ইউনাইটেড। গত সপ্তাহে বিলটি নিয়ে লোকসভায় তারা জানায়, এই বিলটি “সমাজে বিশ্বাসের ঘাটতি তৈরি করবে”।

বিলটি আরও স্ক্রুটিনির জন্য সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবি তোলে বিরোধীরা। বিপথগামী স্বামীদের তিন বছরের জেলের সাজার বিরুদ্ধে তারা। তাদের আরও দাবি, প্রস্তাবিত আইনটি মুসলিমদের ভু্ক্তভোগী করে তুলবে।

.